রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

আমাদের পণ্য নেপালে যাবে, সেভেন সিস্টার্সে যাবে” : প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস

সমুদ্রবন্দর ও হিমালয়ের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারত, বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, যদি এ অঞ্চলে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলা যায়, মালামাল সোজা চলে যাবে নেপাল, ভুটানে, সেভেন সিস্টার্সে।রমরমা ব্যবসা হবে। আমাদের সবার অর্থনীতি এক […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩:২৮

সমুদ্রবন্দর ও হিমালয়ের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারত, বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, যদি এ অঞ্চলে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলা যায়, মালামাল সোজা চলে যাবে নেপাল, ভুটানে, সেভেন সিস্টার্সে।
রমরমা ব্যবসা হবে। আমাদের সবার অর্থনীতি এক সঙ্গে জাগবে।

রোববার (ফেব্রুয়ারি ১৬) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের যে অবস্থান, এটা খুব চমৎকার অবস্থান। দুই পাশে দুই মহাশক্তি আমাদের। ভারত আর চীন। তারা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। আমরা যেহেতু মাঝখানে আছি। আমাদেরকে ফেলে যেতে পারবে না। তাদের বাতাসেই আমরা উড়তে থাকবো। এ থেকে আমার বধ্যমূল ধারণা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার। তার অবস্থানের কারণে।

ড. ইউনূস বলেন, তখন জায়ান্টের কথা বলেছিলাম, দুই মহাশক্তি। এখন আবার দুই মহাশক্তির কথা বলি না, একই সঙ্গে, চার মহাশক্তি। আমাদের কি অপূর্ব সুযোগ, আমাদের সামনে বিস্তির্ণ মহাসাগর, সাগরের সঙ্গেই লাগোয়া উপকূল ভূমি, এ এক মস্তবড় সুযোগ। পৃথিবীর দরজা আমাদের সামনে খোলা। আমরা এতদিন ব্যবহার করতে জানিনি। এখন যে মূহুর্তে আমরা এটার ব্যবহার শুরু করবো, আমাদের অর্থনীতিকে লোহার দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেও বেঁধে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের উত্তরে হলো, বিখ্যাত হিমালয় পর্বতমালা, যেখানে জমে আছে আমাদের প্রয়োজনীয় শক্তি, জলবিদ্যুৎ, কত শক্তি দরকার বাংলাদেশের ওখানে সব জমা আছে। হারিয়ে যাচ্ছে না। শুধু নেবার অপেক্ষায়। শুধু প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে একটা সম্পর্ক করা যাতে করে আমরা, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে যে দূরুত্বটুকু আছে ঐটুকু অতিক্রম করা। আর কিছু না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওরা এক পায়ে খাড়া, নেপাল বারে বারে বলছে আমাদেরটা নিয়ে যাও, আমরা এক পায়ে খাড়া নেবার জন্য। মাঝখানে ঐটুকু পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। আশা করি তাদেরই কারণে, তাদের অর্থনৈতিক কারণে আমাদেরকে দেবে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য। একজনের উপকার, একজনের অপকার এ রকম কিছু না। যদি আমরা সেই পথটা খুঁজে পাই, এখন সামান্য কিছু পাই এটা কিছু না, বড় আকারে যদি পাই, বাংলাদেশকে আটকে রাখার ক্ষমতা কারো নাই।

তিনি বলেন, আমরা মহাসৌভাগ্যবান এক জাতি। তার অবস্থানের কারণে। সেই জাতির দুঃখ কেন থাকবে আমি বুঝতে পারি না। এটা আমাদের কপালের দোষ, নাকি আমাদের চরিত্রের দোষ, না আমাদের চিন্তার দোষ। যদি হয়ে থাকে সেগুলো থেকে আমরা মুক্ত হই। আমরা তো তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যেতে চাই। এটা একটা মহা শক্তিধর অর্থনীতি তৈরি হবে। আজকে কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে উপকূল ভূমি। সেখানে যদি কাতারে কাতারে সব নৌবন্দর স্থাপন হয়, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত যদি আমরা দুনিয়ার সব জাহাজকে আমরা আশ্রয় দিতে পারি, কাজ করার জন্য সুযোগ সুবিধা দিতে পারি। আমাদেরকে আটকাবে কে? শুধু সমুদ্র বন্দর আমরা ব্যবহার করবো, আমাদের মালামাল যাবে তা তো না।

যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুললে সবাই লাভবান হবে জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের নিজস্ব একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, সেই অঞ্চলকে আমরা এখনো খুলতে পারি নাই। কিন্তু এ অর্থনৈতিক অঞ্চল অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। আমাদের অঞ্চল হলো, উত্তরে নেপাল আমাদের অঞ্চল, নেপালের সৌভাগ্য তারা হিমালয় পর্বতের পাদদেশে আছে। দুর্ভাগ্য হলো সমুদ্রের দেখা তাদের হয় নাই। তাদের সমুদ্র দেখতে হলে আমাদের মাধ্যমে দেখতে হবে। সে পথ আমরা করে দেই, যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলি। তার সমুদ্রের অভাব আছে, আমাদের হাইড্রো পাওয়ারের অভাব আছে—এই দুই অভাব একসঙ্গে পূরণ করি।

তিনি বলেন, ভুটান, একই কাণ্ড, তারও সমুদ্র দর্শন হয় নাই। তাদের সমুদ্র দেখতে হলে আমাদের মাধ্যমে আসতে হবে। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তেমনিভাবে ভারতের পূর্বাঞ্চল, নেপাল-ভুটানের মতো একই অবস্থা, ভারতের সেভেন সিস্টারস এরও অবস্থা। তার সমুদ্র দর্শন হয় না। তার সঙ্গেও আমরা যোগ দেই এক সঙ্গে, আমরা একসঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি। আমাদের যে সমুদ্রবন্দর দিয়ে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া হবে, আমাদের মালামাল আনা নেওয়া করবে। তাদের কাছে যাবে চলবে। তাদের অর্থনীতি, আমাদের অর্থনীতি এক সঙ্গে জাগবে। তারাও খুব কষ্টের অবস্থায় আছে, তারা খুব ভালো অবস্থায় নাই। এই সুযোগ পেলে তারাও আনন্দিত, তাদের ব্যবসা, আমাদের ব্যবসা, রমরমা ব্যবসা হবে। এক সঙ্গে ব্যবসা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগি। হতাশার তো কোনো কারণ নেই। এটা আনন্দের বিষয় আমাদের যে অবস্থান, সুযোগ সুবিধা। শুধু এগুলোকে আহরণ করা, কাজে লাগানো দরকার। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এই প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে হবে। যাতে আমরা এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি। মালামাল সোজা চলে যাবে নেপালে, সোজা চলে যাবে ভুটানে, সোজা চলে যাবে সেভেন সিস্টার্সে। তাদের মালামাল আমাদের মধ্যে দিয়ে যাবে। আমাদের ব্যবসা তাদের ওখানে যাবে, তাদের ব্যবসা আমাদের এখানে আসবে। এটাই তো হলো অর্থনীতি। কাজেই প্রাকৃতিক দিক থেকে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৪২

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৪২

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৯৮

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৪২