জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাব, ডিবি ও ডিজিএফআই সদস্যদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে এসব সংস্থার সদস্যদের জাতিসংঘ মিশনে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।
র্যাব, ডিবি এবং ডিজিএফআই-এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর সাথে সংশ্লিষ্ট যেসব সামরিক বা পুলিশ সদস্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত, তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মনোনীত করা হবে না।
প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ করা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক ও সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন, ব্যাপকভিত্তিক ও ন্যায্য তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের পদ থেকে অপসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া, বিশেষ পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধু সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করার জন্য একটি অধ্যাদেশ পাস করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং তাদের অনুমোদন সাপেক্ষে জনগণের কাছে তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা র্যাব সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?