বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
বুধবার দুপুর ২টার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে এসে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, বিদেশি শক্তির সাহায্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল খুনি শেখ হাসিনা।
এর আগে, দুপুরে ২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহের অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরি ফেরতের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে সড়ক অবরোধ করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
প্রথমে তারা খাদ্য অধিদপ্তরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর সচিবালয় এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ জলকামান দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয় এলাকায় ঢুকে পড়েন তারা।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এরপরই দুপুর ১টায় পুলিশের বাধায় সচিবালয়ের সামনে রাস্তায় কাফনের কাপড় পড়ে শুয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারী বিডিআর সদস্যরা।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?