মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বলে দিতে চাই ‘মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি করবেন না’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক কঠোর ভাষায় অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুশীলগিরি ভালো, তবে মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি করবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টারা আমাদের মব জাস্টিস বোঝানোর চেষ্টা করবেন না।’ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে খেলাফত মজলিস রাজশাহী জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। […]

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বলে দিতে চাই ‘মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি করবেন না’

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১০

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক কঠোর ভাষায় অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুশীলগিরি ভালো, তবে মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি করবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টারা আমাদের মব জাস্টিস বোঝানোর চেষ্টা করবেন না।’

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে খেলাফত মজলিস রাজশাহী জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলার মানুষ সেই মহা সুসংবাদ পেয়েছিল—দুপুর দুইটার দিকে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত একটাই দৃশ্য দেখা গেছে। কোনো নেতার ঘোষণা লাগেনি, কোনো আলেমের আহ্বানের প্রয়োজন হয়নি, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যত ভাস্কর্য বা মূর্তি ছিল, সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের জনপদ থেকে ভাস্কর্য সরালেও, হিন্দুদের মন্দির ও উপাসনালয়ের কোনো মূর্তির গায়ে একটা ফুলের টোকাও দেওয়া হয়নি। এ দুটি চিত্র বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে।’

ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশকে আমরা বলব—আমাদের এখান থেকে পলাতক শত শত খুনের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি (শেখ হাসিনা), যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সেই পলাতক আসামিকে আপনারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। শুধু প্রশ্রয় নয়, তাকে বধূর মতো যত্ন করে রেখেছেন। কারণ, তিনি আপনাদের ১৬ বছর সার্ভিস দিয়েছেন এবং গোটা বাংলাদেশটাকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের ভূমিকা নিয়ে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বিতর্ক আরও গভীর হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যদি এভাবেই নাক গলাতে থাকে বাংলার মানুষ আপনাদের সঙ্গে সৌজন্যতামূলক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। আপনাকে আমার দেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষা করতে হবে। আর যদি আমার বাংলাদেশকে মনে করেন আপনার ক্রীতদাসী আমলার মতো, আর বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকায় আপনারা অগ্নিসংযোগ করবেন, আমার আগরতলার উপ-হাইকমিশনে এভাবেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে যাবেন- বাংলার শাহজালালের সন্তানরা নীরবে বসে থাকবে না।’

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘কলকাতায় নির্বাসিত ইসলামবিরোধী, চরম বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রতি বাংলার মাটিতে বসে পীরিত দেখান, মনে রাখেন এ দেশের মানুষ সহনশীল। কিন্তু দুর্বল নয়। আগস্ট বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলার মাটিতে বসে এ দেশের মুসলমানদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে তসলিমা নাসরিনের মতো কুখ্যাত লেখিকাকে আবার বাংলাদেশের মাটিতে প্রকাশ্যে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে এ দেশের মানুষ কোনো দিন বরদাস্ত করবে না।’

খেলাফত মজলিসের আমির আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজপথে রক্ত দিয়ে আজ এ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছি। আপনাদের কোনো করুণার ভিখারি আমরা নই। যদি আমাদের করুণার পাত্র মনে করেন ওপেন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম- আসুন আমাদের মোকাবিলা করে দেখুন, এত সহজ হবে না।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ নেতা বলেন, ‘এ দেশে আমরা ইসলাম ও এর গৌরব নিয়ে বাঁচব। মনে রাখতে হবে- ঐতিহাসিকভাবে বিগত ২৫০ বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম একই সূত্রে গাঁথা। যদি বাংলাদেশে ইসলাম আক্রান্ত হয়, তাহলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। সুতরাং দেশে যারা ইসলামবিরোধী, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। যারা ইসলামকে সহ্য করতে পারে না, তারাই স্বাধীনতার দুশমন। আমরা ছাড় দেব, কিন্তু ছেড়ে দিয়ে কথা বলব না।’

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২৪

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২২৬

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২২৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৬