সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে নতুন বাংলাদেশ: সারজিস

জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যখন দেশে “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি চলছিল, তখন দেশের বাইরে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা “রেমিট্যান্স শাটডাউন” কর্মসূচি পালন করেছেন। এই ত্যাগ ও প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক […]

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে নতুন বাংলাদেশ: সারজিস

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭

জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যখন দেশে “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি চলছিল, তখন দেশের বাইরে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা “রেমিট্যান্স শাটডাউন” কর্মসূচি পালন করেছেন। এই ত্যাগ ও প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে সংগঠনটির ডায়াসপোরা কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবাসী লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও কনোক সারোয়ারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ডায়াসপোরা কমিউনিটির অবদান আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে স্মরণ করতে চাই। তারা শুধু প্রবাসী নন, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, ইলিয়াস ভাই, পিনাকী দাদা, কনোক সারোয়ার—এই তিনজনের মতো আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা রেজিমের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে সোচ্চার ছিলেন এবং এখনও আছেন। তারা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কথা বলেছেন, তথ্য তুলে ধরেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সংকটকে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে ডায়াসপোরা কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। শুধু অর্থনৈতিক অবদান নয়, রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারণ ও উন্নয়নে তাদের ভূমিকা আরও জোরদার করা দরকার। যারা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছেন, তাদের শুধু কৃতজ্ঞতা জানানোই যথেষ্ট নয়, বরং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে তাদের যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা বছরের পর বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশের জন্য নিবেদিত থেকেছেন, তাদের রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। জাতীয় সংসদেও তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। কারণ, তারা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও নীতিগত ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। দেশের গঠনমূলক উন্নয়নের জন্য প্রবাসীদের কণ্ঠস্বর ও মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য আগামীর বাংলাদেশে তাদের সক্রিয় ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনা মিডিয়ার গলা চেপে ধরে রেখেছিল। বিভিন্ন এজেন্সি অলওয়েজ নজরদারি করত। তারা নিউজের শব্দ ও বাক্য ঠিক করে দিত। কিন্তু দেশের বাইরে প্রবাসী ফিল্যান্সার সাংবাদিকেরা সাহস জুগিয়েছেন, খুনি হাসিনার রেজিমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক প্রমুখ।

এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা এবং প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক চার মহাদেশ ও ৩০ দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেন।

কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রাকীব সামি, আবু সলমান মুরাদ, আবুল বাশার রহমান, আল আমিন, আলমগীর চৌধুরী আকাশ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক এনাম, দেওয়ান সাহাব-উদদীন, দিলশানা পারুল, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, ফারিয়া ফাহি প্রমুখ।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৫১

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১১