চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা হাজত থেকে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তাঁরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, ডিউটি অফিসার আমির হোসেন, এসআই নাছিমা আক্তার ও সেন্ট্রি কনস্টেবল মো. এনামুল হক।
লোহাগাড়া থানা পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে কলাউজানের ৭নং ওয়ার্ডের বলিপাড়ার নজির আহমদের ছেলে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যায়।
গতকাল ভোরে স্থানীয় লোকজন কলাউজানের বাংলা বাজারের দক্ষিণ পাশে বাহাদুর পাড়ার আবদুল আলমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা সাইফুল কৌশলে থানা থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, এসআই নাছিমা আকতার, এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল মো. এনামুল হককে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে চট্টগ্রাম জেলায় যোগদানকৃত পুলিশ পরির্দশক আরিফুর রহমানকে লোহাগাড়া থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান জানান, থানা থেকে সাইফুল নামের এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টিমও কাজ করছে। আশা করছি পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবো।
কলাউজানের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম আরাফাত জানান, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ তার দ্বারা অত্যাচারের শিকার হয়েছে। সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে সাইফুল আত্মগোপনে ছিল। গতকাল ভোরে এলাকার মানুষ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। কিন্তু এলাকাবাসী থানা থেকে ঘরে পৌঁছার আগেই পুলিশের সহযোগিতায় আসামি সাইফুল পালিয়ে যায়।