ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি একনায়ক শেখ হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) মানবাধিকার সংস্থার এশিয়া পরিচালক এলাইন পিয়ারসনের নেতৃত্বে এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা জুলাই আন্দোলন নিয়ে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এইচআরডব্লিউয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, বলপূর্বক গুমের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে আরও বলেছেন যে, শেখ হাসিনা বা ঊর্ধ্বতনরা সরকার আটকের বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসিনা সরাসরি জোরপূর্বক গুম এবং হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এলাইন পিয়ারসন বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল মূলনীতি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে।
এইচআরডব্লিউ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে বলেছে, হত্যাকাণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। কিছু জবাবদিহিতা থাকা দরকার।
এ সময় ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের গত ১৬ বছরে তাদের প্রতিবেদনগুলো সরকার দ্বারা সংঘটিত ব্যাপক অপরাধের উন্মোচন করেছে। র্যাব তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছে, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।
পিয়ারসন বলেন, শেখ হাসিনার ২০০৯-২০২৪ সালের শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল এবং তারা দলীয় ক্যাডারদের শাসন করার মতো আচরণ করেছিল। এটির জন্য পদ্ধতিগত সংস্কার প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা স্বচ্ছতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সমস্ত সংস্কার সুপারিশ প্রকাশ করছি, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?