বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। এ দুজন আন্দোলনের সময় চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টার ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে আহতরা রওনা করেন।
চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ইমরান হোসাইন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ মহিউদ্দিন রাব্বি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে, ২৪ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো. ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইবকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এতদিন তারা রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বিষয়ে ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আহতদের চিকিৎসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় খোঁজখবর রাখেন। আমরা দ্রুত আরও কয়েকজনকে বিদেশ পাঠাব। আগামী সপ্তাহে খোকনকে রাশিয়ায় নেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনে যারা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনেককেই দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ৭ জন সিঙ্গাপুর গেছেন।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?