দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে।
আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হওয়া যেন আর অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পলাতক অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশে যেভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করেছিল, তা এসব ঘটনায় ভূমিকা রেখেছে।
তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গোপনে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বেলজিয়ামের রেসিডেন্স কার্ড রয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
এছাড়া সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং জুনায়েদ আহমেদ পলক যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ বসবাসের অনুমতি বা গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।এ ধরনের তথ্য উঠে আসায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ ধরনের কার্যক্রম দিনের পর দিন চলমান ছিলো।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?