বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

১৪ বছর পর বিএসএমএমইউতে যোগ দিলেন ডা. দোলন

দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ দিন পর বিএসএম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুন:রায় যোগদানপত্র গ্রহন করেন ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসি, প্রো-ভিসি,ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও বিএসএমএমইউ DAB শাখার সভাপতি, সেক্রেটারী। এ প্রসঙ্গে ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন বলেন, আল্লাহ চাইলে কি না হয়। জীবনে কখনো ভাবিনি আবার বিএসএমএমইউতে অর্থোপেডিক্স বিভাগে যোগদান করবো। জানা যায়, […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬

দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ দিন পর বিএসএম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুন:রায় যোগদানপত্র গ্রহন করেন ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসি, প্রো-ভিসি,ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও বিএসএমএমইউ DAB শাখার সভাপতি, সেক্রেটারী।

এ প্রসঙ্গে ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন বলেন, আল্লাহ চাইলে কি না হয়। জীবনে কখনো ভাবিনি আবার বিএসএমএমইউতে অর্থোপেডিক্স বিভাগে যোগদান করবো।

জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে চাকরি হারান ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জোরপূর্বক চাকরি হারানো এই চিকিৎসক ১৪ বছর পর গত সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে কাজ শুরু করেন। গত ৬ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে যোগদানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চাকরি হারানোর বিষাদময় স্মৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিকিৎসক হওয়ায় তাকে অস্ত্রের মুখে বিএসএমএমইউ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অবশেষে ১৪ বছর ৪ দিন পর গত ৬ জানুয়ারি এই চিকিৎসক ফের বিএসএমএমইউতে যোগদানপত্র গ্রহণ করেন।

গত বছর ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউর ৯৪তম সিন্ডিকেট সভা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পদচ্যুতি ও পদাবনতির বিষয়সমূহ নিষ্পত্তিকল্পে কোষাধ্যক্ষ নিম্নরূপ সুপারিশ অনুমোদন করা হয়। সেখানে এক তালিকার প্রথমে ডা. কাজী মাজহারুল ইসলামের নামের পাশে বলা হয়েছে, “ডা. কাজী মাজহারুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জোরপূর্বক চাকরি থেকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করা হয়।”

ডা. দোলন ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেন, এক-এগারোর সরকারের সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিকিৎসা করানোর কারণে তিনি বিএসএমএমইউ থেকে চাকরিচ্যুত হন। এরপর ২০১০ এ ক্লিনিক্যাল অর্থোপেডিক্স এ পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করেন। পরের বছর এপ্রিলে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে প্রফেসর এন্ড হেড অব অর্থোপেডিক্স হিসাবে যোগদান করেন। কয়েক মাসের মধ্যে ভাইস প্রিন্সিপাল বা ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ফ্যাসিবাদী সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।

সংগ্রামের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, ২০১৫-২০১৭ দুই বছর পলাতক জীবন যাপন করতে হয়েছে। কখনো কখনো মানুষের বাসার ছাদেও ঘুমাতে হয়েছে। এই সংগ্রামের কোনো শেষ নেই। অবশেষে গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে আবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো।

ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) সহযোগী অধ্যাপক থাকা অবস্থায় লগি বৈঠার আন্দোলন প্রতিরোধে সম্মুখ সারিতে তারা পাঁচজন নেতৃত্ব দেন। ১-১১ এর সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।

তারেক রহমানের চিকিৎসার যাদের ওপর অর্পিত হয় তাদের মধ্যে ডা. দোলন অন্যতম। তারেক রহমানকে আদালতে নিয়ে যাওয়া এবং ভয় ভীতি উপেক্ষা করে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা গণমাধ্যমে বলার মত ডা. দোলন ছাড়া কেউ ছিল না। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সঙ্গে ছিলেন এই চিকিৎসক। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়েন। অস্ত্রের মুখে পিজি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। তিন মাস ঘরে বসে ছিলেন।

 

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৬

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৬

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৬