আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশীয় ছাপাখানায় সব বই মুদ্রণ, পরিমার্জন, বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকাসহ বিভিন্ন কারণেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।’
এবার প্রাথমিকে ১০ আর মাধ্যমিকে ৩০; সবমিলিয়ে বইয়ের চাহিদা প্রায় ৪০ কোটি। এনসিটিবির হিসাবে ছয় জানুয়ারি পর্যন্ত বই গেছে ছয় কোটির কিছু বেশি। ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে যাওয়া, পুনরায় দরপত্র আহবানসহ নানা কারণে কার্যাদেশ দিতেই দেরি হয়েছে।
তাই এবার বই দিতে দেরি হবে, এটা জানাই ছিলো। তবে শিক্ষার্থীরা সব বই কবে পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ কোনো সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নন।
তিনি বলেন, ভিন্ন পরিস্থিতিতে এ বছর সব বই কবে মিলবে তার সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (সাত জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই সব কথা বলেন।
বিগত সময়ে মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেওয়া হয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা বই ছাপা কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কতো সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।
তিনি বলেন, এ বছরই বোঝা গেলো সবগুলো গোডাউন যেখানে আর্ট পেপারগুলো জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্ধার করার পরও দেখা গেল যে দেশের ভেতর আপাতত কিছু ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে।
কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী বই পাবে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কবে নাগাদ সবাই সব বই পাবে এটা আমি জানি না।
অপরদিকে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা জানান, রমজানে যেসব পণ্যের শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা অব্যহত থাকবে। সামর্থবান সবাইকে কর দিতে হবে।
এসময় নীতিতে পরিবর্তন না আনলে অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে না মন্তব্য করেন তিনি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?