শীতের হিমেল হওয়ায় চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সময় তখন ৫টা ১৭মিনিট। ঢেউয়ের মিষ্টি গর্জনের মাঝে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গেছে ২০২৪ সালের শেষ সূর্য। ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ গঠনের স্বপ্ন জাগিয়ে কালের গহ্বরে হারিয়ে গেলো ২০২৪ সাল। নানা ঘটন আর অঘটনকে চাপিয়ে অনেক প্রাপ্তি, হতাশা, ক্লান্তিতে শেষ হল আরও একটি বছর। নানা কারণে এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইটের উন্মুক্ত আয়োজন বন্ধ। এরপরও কক্সবাজারে উল্লেখ করার মতো পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে। বছরের শেষ সূর্য ডোবা দেখতে সৈকতে হাজির হন প্রকৃতি সচেতন স্থানীয় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা।
কনকনে শীতল আবহাওয়া থাকলেও বর্ষ বিদায়ের শেষ দিনে সূর্য লাল আভা ছাড়িয়ে বিদায় নিয়েছে। বুধবারের সূর্যোদয়ের মধ্যদিয়ে পথচলা শুরু হবে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের। ৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে পরিচ্ছন্ন আগামীর প্রত্যাশায় ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে সবাই। উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও নিজেদের মতো করে নতুন বছরকে বরণ করেছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্টের সব ধরণের আয়োজন বন্ধ। তবে, অতীতের মতো তারকা হোটেলগুলো স্ব-উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ আয়োজন করছে। হোটেলে অবস্থান করা অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে আয়োজন। কিন্তু বহিরাগতদের জন্য সাশ্রয়ী দামে গালা ডিনারের আয়োজন রেখেছে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড। আর প্যাকেজে আসা অতিথিদের জন্য ডিজে, ব্যান্ড ও মেলোডি সংয়ের আয়োজন রাখা হয়েছে। একই ধরনের আয়োজন রেখেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট, হোটেল রামাদা, সায়মন বিচ রিসোর্ট, সি পার্ল হোটেল এন্ড স্পা, বেস্ট ওয়েস্টার্ন এবং দ্য কক্স-টু-ডে।
মঙ্গলবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বিপুল দর্শনার্থী বেলাভূমিতে। শীতের মাঝেও অনেকে সমুদ্রে গোসল করছিলেন। অধিকাংশই বালুচরে দাঁড়িয়ে সাগরের গর্জন আর সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন।