তাবলীগ জামাতের কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের এবং মাওলানা সা’দ অনুসারীরা পূর্বে যেসব জেলা ও উপজেলা মসজিদে তাবলীগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, তারা শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেই কার্যক্রম আগের মতোই চালিয়ে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে তাবলীগ জামাতের সা’দ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, “আমরা আশা করছি, কাকরাইল মসজিদসহ সারাদেশে চলমান বৈষম্যের সমাধানে সরকার বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। জুবায়েরপন্থিরা বিভিন্ন মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের কার্যক্রমে বাধা প্রদান এবং বিভিন্ন জায়গায় নিপীড়ন চালাচ্ছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা আশা করছি, প্রশাসন সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত সমাধান হবে এবং তারা আন্তরিক ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আহ্বান জানাই যেন তারা দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং ধর্মীয় সংঘাত থেকে বিরত থাকে। এসব কাজ তাবলীগ জামাতের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ইসলামিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। ইসলামকে বিভ্রান্ত করবেন না।”
মো: সায়েম আরও বলেন, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান আমরা জানাচ্ছি।আমরা উভয়পক্ষ ও সরকারের দায়িত্বশীলদের সাথে বসে ধর্মীয় এই সংঘাত বন্ধে বরাবরের মতোই সমাধানে পৌছতে আগ্রহী। পাশাপাশি তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হওয়া তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি শায়খুল হাদিস মাওলানা জিয়া বিন কাসেম ও মুফতি মুআজ বিন নূরের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?