শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
৩ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি , দ্বিতীয় ঢাকা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২

দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি , দ্বিতীয় ঢাকা

ঢাকার বাতাসের মান আজও অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকাকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। আজ ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ২৯৫, যা গতকালের ২৬১ থেকে বেড়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি, যেখানে বায়ুমান আজ ভয়াবহ ৬০১। একিউআই ৩০০ পেরোলেই বাতাসকে দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যা দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান করছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আরও রয়েছে ঘানার আক্রা এবং ভারতের কলকাতা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এসব শহরের বায়ুর মান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বায়ুমান পরিমাপের জন্য বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ব্যবহার করা হয়।

আইকিউএয়ার, একটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, জানিয়েছে যে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ নামের অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা। উচ্চমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদ্‌রোগ, এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আইকিউএয়ার নিয়মিতভাবে এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

সে হিসেবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গত দুই দিনের মতো আজও খুব অস্বাস্থ্যকর । দূষণ আরেকটু বাড়লেই এটা দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাবে।

দূষণে তিনে থাকা লাহোরের বায়ুমান ২৬৬। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আক্রার বায়ুমান ২৪৩ আর পাঁচে থাকা কলকাতার বায়ুমান ১৯৪।

বায়ুমানের দিক থেকে দূষিত শহরের তালিকায় ছয় থেকে দশে থাকা শহরগুলো হলো, আফগানিস্তানের কাবুল, ইরাকের বাগদাদ, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের মুম্বাই এবং ইরানের তেহরান।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

১২ ডিসেম্বর ২০২৪