মোখলেছুর রহমান ( ঢাকা প্রতিনিধি):
স্বাধীন বাংলাদেশের বৃহত্তর জনমানুষের বিজয়ের জন্য আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিভাজনে আমরা অনেক ঘুরপাক খেয়েছি। তবে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সংগ্রামই প্রকৃত সংগ্রাম। বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
বিকাল ৪:০০টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী কবি ফরহাদ মজহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, গত এক—দেড় দশক ধরে একাত্তরের একমুখী বয়ান তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধকে সংকীর্ণ পরিসরে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থান সে অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি দিলেও এখনও আমাদের সচেতন থাকতে হবে যেন নতুন করে কোনও গণ্ডিবদ্ধতায় আমরা ঢুকে না পড়ি।
কবি ফরহাদ মজহার বলেন, দেশে আমরা অভ্যুত্থান এনেছি কিন্তু এখনও একে সংহত করতে পারিনি। সংবিধানের দোহাই দিতে মুক্তিযুদ্ধবাহিত বাংলাদেশে মানুষের মুক্তির আকাক্সক্ষাকে ধারাবাহিকভাবে বিনষ্ট করা হেছে। সে আশঙ্কা এখন আরও তীব্র হচ্ছে। তিনি বলেন, গণমানুষের গণসার্বভৌমত্ব কায়েমের জন্যই একাত্তরের মানুষ রক্ত দিয়েছে, চব্বিশেও মানুষ রক্ত দিতে দ্বিধা করেনি।
এই সাধারণ মানুষের জীবনে বিপ্লবের সুফল বয়ে আনতে প্রথাগত পথে হাঁটলে হবে না বরং আমাদের চিন্তা ও তৎপরতায় আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। বিজয় দিবস তখন তার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে যখন এদেশের মানুষ বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ লাভ করবে।