২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই মুসল্লি নিহত হওয়ার ঘটনায় সাদপন্থিদের বিচারের দাবিতে শুরায়ে নেজামের শত শত মুসল্লি টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে এ অবরোধ শুরু হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে ২টায় তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, ভোর থেকেই তাবলিগের শুরায়ে নেজামের লোকেরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান জোরদার করতে থাকেন। পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে ইজতেমা ময়দানের তিনপাশে রাস্তায় অবস্থান নেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাদপন্থিদের জোড় ইজতেমা ২০ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা। তবে ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের জোড় ইজতেমা শেষ হওয়ার পর থেকে তারা মাঠের নিয়ন্ত্রণে রেখে অবস্থান আরও শক্তিশালী করে।
শুরায়ে নেজামের লোকেরা জানান, শুরায়ে নেজাম আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা ময়দান ছাড়বেন। ফলে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করতে না পারায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় ৪৫ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ ছিল।
এদিকে ২০২৫ সালে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে বিরোধপূর্ণ দুই পক্ষের মধ্যে এখনো সমঝোতা হয়নি। শুরায়ে নেজাম ইতোমধ্যে তাদের জোড় ইজতেমা সম্পন্ন করলেও মাঠ না ছাড়ায় সাদপন্থিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতেই শুরায়ে নেজামের লোকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে আয়োজিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ৩১ জানুয়ারি এবং চলবে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি।