চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত চন্দন দাসের ৭ দিনের এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে, আসামিদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে আনা হয়। সকাল থেকে আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। পরে পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আংশিক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ২৬ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
বিকেলে সংঘর্ষ চলাকালে রঙ্গম কমিউনিটি হল এলাকার কাছে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনার পর ২৯ নভেম্বর আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?