সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

স্বাধীনভাবে কাজ করা, বাংলা একাডেমির অধিকার: ফারুকী

মোখলেছুর রহমান ( ঢাকা প্রতিনিধি): বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেঁ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া বাংলা একাডেমির অধিকার। কারণ এই প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের কাছে বইমেলা এবং অভিধান-এই দুই বিষয়ের দ্বারা একাডেমি ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও গত প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৪

মোখলেছুর রহমান ( ঢাকা প্রতিনিধি):

বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেঁ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া বাংলা একাডেমির অধিকার। কারণ এই প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের কাছে বইমেলা এবং অভিধান-এই দুই বিষয়ের দ্বারা একাডেমি ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও গত প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একদেশদর্শী না হয়ে জাতীয় চিন্তার ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া সেতুগুলো মেরামত করা; যেন দেশের সব মানুষ তার অধিকারের ভাষা খুঁজে পায়।

এই ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির ভূমিকা অনেক। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি আর্থিক ক্ষেত্রে নানাভাবে সরকারি সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়তো তবে সরকার কোনো অলীক ধারণা নয়। বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলা একাডেমিকে মনোনীত করেছি।

বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১/৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকাল ১০:০০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি এবং বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকাল ৩:০০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। বাঙলা গবেষণালয় সংক্রান্ত বিচিত দুর্ভাবনা শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং একাডেমির সদ্যপ্রয়াত সাবেক মহাপরিচালক ও সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। নানা সময়ে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় চাপে একাডেমি হয়তো স্বাধীনভাবে তার কাজ পরিচালনা করতে বিরুদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছে তবে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সবারই প্রত্যাশা- বাংলা একাডেমি স্বাধীনভাবে তার উপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।

অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, বাংলা একাডেমি একসময়ে বাংলাভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় সম্পৃক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছিল। সম্প্রতি দেশে একটি যুগান্তকারী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। যাকে জুলাই- আগস্টের আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামে অভিহিত করা হয়েছে।

এই সূত্রে সংবিধানে সংস্কার, রাষ্ট্র সংস্কার, আরো বহুবিধ সংস্কারের ধারণা প্রতিনিয়ত আলোচিত হচ্ছে এবং এই সমস্ত সংস্কারের সঙ্গে ভাষার যেমন ওতপ্রোত-সম্বন্ধ তেমনি ভাষার সূত্রে সমস্ত সংস্কারের সঙ্গেই বাংলা একাডেমিরও নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির প্রধান দায়িত্ব কী -এটা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা না থাকার কারণে অনেক ব্যক্তি সুধীজন কিংবা বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মনে করে রাষ্ট্রের বাংলা সম্পর্কিত সব কাজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা হলো একাডেমি। এ রকম ধারণার ফলে যত ধরনের ভুলত্রুটি ভাষা ব্যবহারে হোক না কেন, সেগুলো এসে পড়ে একাডেমির উপর।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এক সময় পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে একাডেমিকে এক ধরনের অস্তিত্বগত লড়াই করতে হয়েছে। আবার স্বাধীন বাংলাদেশে দুর্বল আর্থিক কাঠামোসহ নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে এটা সত্য যে গত প্রায় সত্তর বছর ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রশ্নে নিরাপোষ থেকে তার সাধ্যমতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৫৪

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২১৪

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৫৪

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৫৪