শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রথম আসামির মুক্তি

শামসুল হক ওরফে বদর ভাইকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৬ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে আপিলে সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অবশেষে দীর্ঘ কারাবাস শেষে গত ২১ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শামসুল। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাবাস পূর্ণ করে প্রথম কোনো আসামি মুক্তি পেলেন। ২০১৫ সালে […]

নিউজ ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬

শামসুল হক ওরফে বদর ভাইকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৬ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে আপিলে সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অবশেষে দীর্ঘ কারাবাস শেষে গত ২১ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শামসুল। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাবাস পূর্ণ করে প্রথম কোনো আসামি মুক্তি পেলেন।

২০১৫ সালে জামালপুর শহরের নিজ বাড়ি থেকে শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শামসুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ওইদিন বিকেলেই জামালপুরের নয়াপাড়া এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে কারাবন্দি ছিলেন।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় রায়ে শামসুলসহ পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সেদিন রায় ঘোষণার সময় শামসুল হক ছাড়াও এস এম ইউসুফ আলী নামে অপর এক আসামি উপস্থিত ছিলেন। তবে বাকিরা পলাতক ছিলেন।

সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জামালপুরের আশরাফ হোসাইন, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারী। এছাড়া মো. শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ছাড়াও আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন, আবুল হাশেম এবং এস এম ইউসুফ আলীকে।

তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালেই আপিল বিভাগে আবেদন করেন শামসুল ও ইউসুফ। যদিও রায়ের বিরুদ্ধে করা এ আপিল বিবেচনাধীন থাকাবস্থায় অপর আসামি ইউসুফের মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে শামসুল হকের করা আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে তার সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। এছাড়া শামসুল হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। আর তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন।
পরবর্তীকালে আপিল বিভাগ থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আবেদনের রায় প্রকাশের পর সেটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল থেকে সেই রায় কারাগারে পাঠানোর পর গত ২১ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান শামসুল। আসামিপক্ষের এক আইনজীবীর মতে, শামসুল হক ওরফে বদর ভাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাবাস পূর্ণ করে মুক্তি পেয়েছেন।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।