সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

পুলিশে ব্যাপক পরিবর্তন দুরুত্ব কমিয়ে বন্ধু হতে চায় জনগনের

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্পসময়েই পুলিশ বাহিনীতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বিপ্লবোত্তরকালে ভেঙে পড়া পুলিশের চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ মনে করছে, সময়ের দাবিতে মেট্রোপলিটন, জেলাসহ অন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পদগুলোতে যৌক্তিক কারণে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পুলিশের ভেঙে পড়া মনোবল চাঙ্গা করে […]

নিউজ ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্পসময়েই পুলিশ বাহিনীতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বিপ্লবোত্তরকালে ভেঙে পড়া পুলিশের চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ মনে করছে, সময়ের দাবিতে মেট্রোপলিটন, জেলাসহ অন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পদগুলোতে যৌক্তিক কারণে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পুলিশের ভেঙে পড়া মনোবল চাঙ্গা করে কাজে ফেরাতে পেরেছে।

দফায় দফায় পদোন্নতির মাধ্যমে বাহিনীর যোগ্য অফিসারদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। অধস্তনদের সার্বিক কল্যাণ এবং কর্মোদ্দীপনা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জোর দেওয়া হয়েছে। এভাবে পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে।

জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। হারানো অস্ত্র এবং গুলির বড় অংশ এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, জুলাই-আগস্টে বিধ্বস্ত ইউনিটগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পুনরায় কর্মোপযোগী করা হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পূর্ণোদ্যমে প্রতিটি ইউনিট কাজ করছে।

একই সঙ্গে আন্দোলনে পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

অপরাধ ও সমাজবিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সরকার গঠনের পর সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। কারণ পুলিশের ৪৬০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুর করে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া, অস্ত্র ও মালপত্র লুটসহ পুলিশ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

প্রাণভয়ে পুলিশের অনেক সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। ফলে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময়কালে দেশের থানাগুলো অনেকটাই অরক্ষিত ও পুলিশবিহীন ছিল। এতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়াসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।

এ অবস্থায় জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করে মাঠে নামানোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার। ফলে ধীরে ধীরে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সদস্যরা এতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন।

হেডকোয়ার্টার সূত্র জানায়, পুলিশের ১৪৩টি থানাসহ মোট ৪৫৪টি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাসমূহের মেরামত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো স্থাপনার কাজ এখনো চলমান। এ ছাড়া পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সারা দেশে অনলাইন জিডির (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম চালু আগের চেয়ে আরো বেগবান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নাগরিকরা ঘরে বসেই জিডিসংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকরা অনলাইন জিডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ জিডির আইনি সেবা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশে প্রযুক্তিনির্ভর সেবাসমূহ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সঙ্গে পালন করা হচ্ছে।

হত্যা মামলার আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, নারী-শিশু মামলার ভিকটিম উদ্ধার, মৃতদেহ শনাক্ত, আলামত উদ্ধার, অজ্ঞাত ব্যক্তি ও অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাইবারজগতের অপরাধ শনাক্ত ও অপরাধী ধরতে সাইবার পেট্রোলিংও জোরদার করা হয়েছে।

 

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭৮৮

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৪৮

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭৮৮

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৭৯৬