বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলামিক জীবনধারা

কার কাছে প্রিয় বা অপ্রিয় হলাম সেটা বড় নয়, মূখ্য হচ্ছে আমাকে ইসলাম কি বলে: হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বলেন, কার কাছে অপ্রিয় হলাম সেটা বড় নয়, মূখ্য হচ্ছে আমাকে ইসলাম কী বলে। তিনি যোগ করেন, এটা অনেকের অপছন্দের কথা, আমি জানি এই কথার কারণে আমি অনেকের কাছে অপ্রিয় হতে পারি, কিন্তু কার পছন্দ হলো না সেটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো ইসলাম আমাকে কী বলে, আমার দিন আমাকে […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বলেন, কার কাছে অপ্রিয় হলাম সেটা বড় নয়, মূখ্য হচ্ছে আমাকে ইসলাম কী বলে।

তিনি যোগ করেন, এটা অনেকের অপছন্দের কথা, আমি জানি এই কথার কারণে আমি অনেকের কাছে অপ্রিয় হতে পারি, কিন্তু কার পছন্দ হলো না সেটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো ইসলাম আমাকে কী বলে, আমার দিন আমাকে কী শিক্ষা দেয়।

হাসনাত তার গ্রামে প্রচলিত “পত্তন” নামক এক বিনিময় প্রথা নিয়ে কথা বলেন, যা সরাসরি সুদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি জানান, তার পরিবারসহ অনেকেই একসময় এই প্রথার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তবে তারা পরে ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করে এবং আলেমদের পরামর্শ নেন।

যেদিন থেকে আমরা এই পথ থেকে ফিরে এসেছি, আমাদের জীবনে স্বচ্ছলতা ও প্রশান্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, বলেন হাসনাত। তার বক্তব্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, যে ইসলামিক পথ অনুসরণ করে ব্যক্তি ও পরিবার উভয়ের জীবনই উন্নতি হতে পারে।
হাসনাতের এই অভিজ্ঞতা তার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি বৈষম্য দূর করতে এবং মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী।

ইসলামিক জীবনধারা

মুগ্ধ হয়েই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ক্রীড়া সাংবাদিক দেব চৌধুরী

জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুসসালাম শাহী মসজিদে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।জুমার নামাজ শেষে তাকে কালিমা শাহাদাহ পাঠ করান মসজিদের খতিব জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে ইসলামের ছায়াতলে স্বাগত জানান। অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেন এবং উপহার হিসেবে […]

ফারজিন লিটু

৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:১২

জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুসসালাম শাহী মসজিদে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
জুমার নামাজ শেষে তাকে কালিমা শাহাদাহ পাঠ করান মসজিদের খতিব জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে ইসলামের ছায়াতলে স্বাগত জানান। অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেন এবং উপহার হিসেবে ফুল ও পোশাক দেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে দেব চৌধুরী বলেন, আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় আজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছি। আমি আরবি পড়তে পারি না, তবে আমার ঘরে কোরআনের বাংলা অনূদিত তিনটি কপি রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে দেব চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি গণ মাধ্যমকে জানান, ‘জি, আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

দেবকে ইসলামে স্বাগত জানিয়ে ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন।নাফিস লিখেছেন, আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আল্লাহ আপনার পথচলা সহজ করে দিন।
আল্লাহ আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। আমিন।

ইসলাম ও জীবন

তাবলিগের ‘শুরায়ি নিজাম’ কী?

তাবলিগ জামাতের অন্যতম পরিচিত মুখ, দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরুব্বি মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য ও অবস্থানকে ঘিরে বিভক্তি দেখা দেয় দীর্ঘ দিন একসঙ্গে থাকা তাবলিগ জামাতের মাঝে। মাওলান সাদ অনুসারীদের দাবি, তারা একক আমির ও দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তত্ত্বাবধায়নে তাবলিগের কাজ পরিচালনা করতে চান। অপরদিকে আরেক পক্ষ থেকে একক কারও অধীনে তাবলিগের কাজ পরিচালনা না করে […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫:২৪

তাবলিগ জামাতের অন্যতম পরিচিত মুখ, দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরুব্বি মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য ও অবস্থানকে ঘিরে বিভক্তি দেখা দেয় দীর্ঘ দিন একসঙ্গে থাকা তাবলিগ জামাতের মাঝে। মাওলান সাদ অনুসারীদের দাবি, তারা একক আমির ও দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তত্ত্বাবধায়নে তাবলিগের কাজ পরিচালনা করতে চান।

অপরদিকে আরেক পক্ষ থেকে একক কারও অধীনে তাবলিগের কাজ পরিচালনা না করে ‘শুরায়ি নিজাম’ (পরামর্শ পরিষদ) মেনে তাবলিগের কাজ পরিচালনার দাবি তোলা হয়। যার সূচনা হয় ১৯৯৫ সালে তাবলিগের তৎকালীন প্রধান মুরুব্বি মাওলানা এনামুল হাসানের ইন্তেকালের সময়। মৃত্যুর আগে তিনি তাবলিগের ১০ সদস্যকে নিয়ে শুরা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। যেন তার অনুপস্থিতিতে শুরা সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটি ২০১৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

২০১৫ সালে মাওলানা সাদের একক আমির দাবি এবং কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভক্তি দেখা দেয় তাবলিগের সাথীদের মাঝে।

বিভক্তির পর বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষ ‘মাওলানা সাদ অনুসারি, সাদপন্থী’ এবং ‘মাওলানা জোবায়ের অনুসারি বা জোবায়েরপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দীর্ঘ দিন গণমাধ্যমে এমন শব্দ ব্যবহারের পর ‘জোবায়ের পন্থী’ হিসেবে পরিচিত তাবলিগের সাথীদের পক্ষ থেকে তাদের ‘জোবায়ের পন্থী’ না বলে ‘শুরায়ি নিজাম’ বলে অভিহিত করার অনুরোধ করা হয়।

তাবলিগের অন্যতম মুরুব্বি মুফতি আমানুল হক বলেন, আমরা মাওলানা জোবায়ের সাহেবকে অনুসরণ করি না, জোবায়ের সাহেবসহ বিভিন্ন দেশের তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিদের একটা জামাত আছে, আমরা সেই জামাতকে মেনে চলি, যারা সবাই মিলে কোনো বিষয়ে পরামর্শ করেন। আমরা সেই পরামর্শকে অনুসরণ করি। সুতরাং আমাদেরকে ‘জোবায়ের পন্থী’ না বলে ‘শুরায়ি নিজাম পন্থী’ বলার অনুরোধ করছি। আমরা নিজেদেরকে ‘শুরায়ি নিজাম অনুসারী’ বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।

বিশ্ব শুরার তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত তাবলিগ জামাতের কাজকে ‘শুরায়ি নিজাম’ বলা হয়। অর্থাৎ একক কোনো আমির বা কারও বিশেষ প্রভাবমুক্ত রেখে বৈশ্বিক পরমর্শ সভার অধীনে তাবলিগের কাজ পরিচালনা করা।

তাবলিগের অন্যতম মুরব্বি, হজরতজি মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর তাবলিগ জামাতের একক কোনো আমির নির্ধারণ করা হয়নি। এরপর থেকে একক কোনো আমিরের অধীনে তাবলিগের কাজ না করে সবার পরামর্শের ভিত্তিতে তাবলিগ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এভাবেই দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তাবলিগের কাজ পরিচালিত হয়ে এসেছে, পরবর্তীতে মাওলানা সাদ নিজেকে একক আমির ঘোষণা করে তাবলিগ পরিচালনা শুরু করেন এবং এ নিয়ে বিভক্তি শুরু হয়।

তাবলিগের কাজকে প্রভাবমুক্ত রাখতে দীর্ঘ দিন ধরে তাবলিগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ‘শুরায়ি নিজামে’র সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো দেশ বা ব্যক্তি বিশেষকে প্রধান্য দেওয়া হয় না, অভিজ্ঞ আলেম ও তাবলিগের পুরোনো সাথীদের ‘শুরায়ি নিজাম’ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ইসলাম ও জীবন

শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ মাসসমূহের মধ্যে শাবান মাস অন্যতম। দ্বিনি বিবেচনায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্য ধারণ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রসুল সা. ছিলেন অধিক আমলকারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ মাসে আমল করার ব্যাপারে তিনি আরো বেশি গুরুত্ব দিতেন। বিশেষ করে তিনি এ মাসে অধিকহারে রোযা রাখতেন। হজরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বলেন,‘রসুলুল্লাহ সা. যখন রোযা […]

নিউজ ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৭

ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ মাসসমূহের মধ্যে শাবান মাস অন্যতম। দ্বিনি বিবেচনায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্য ধারণ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রসুল সা. ছিলেন অধিক আমলকারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ মাসে আমল করার ব্যাপারে তিনি আরো বেশি গুরুত্ব দিতেন। বিশেষ করে তিনি এ মাসে অধিকহারে রোযা রাখতেন।

হজরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বলেন,‘রসুলুল্লাহ সা. যখন রোযা রাখা শুরু করতেন, তখন মনে হতো, তিনি হয়ত আর রোযা ভাঙ্গবেন না, আর যখন তিনি রোযা ভাঙ্গা শুরু করতেন, তখন মনে হতো তিনি আর রোযাই রাখবেন না। আমি রসুল সা.-কে রমজান ছাড়া পূর্ণ মাস রোযা রাখতে দেখিনি। আর শাবান মাসের মত অধিক পরিমাণ নফল রোযা অন্য কোনো মাসে রাখতেও দেখিনি।’(সহিহ বুখারী, হাদিস : ১৯৬৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৫৬)

শাবান মাসে অধিক রোযা রাখার কারণ
রসুল সা. শাবান মাসে অধিক পরিমাণে রোযা কেন রাখতেন তা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে হজরত উসামা বিন যায়েদ রাযি.-এর সূত্রে বর্ণিত একটি হাদিসে। তিনি বলেন,‘মানুষ এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে অনেকটাই উদাসীন থাকে। অথচ এ মাসটি এমন যে, এ মাসেই মানুষের আমল মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন-এর দরবারে পেশ করা হয়। আর (এ কারণেই আমি চাই যে, আমার আমল মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যে অবস্থায় আমি রোযাদার।’
(সুনানে নাসায়ী, হাদিস : ২৩৫৭; আস-সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী, হাদিস : ২৬৭৮)

তাই অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে, বিশেষ করে ১৪ই শাবান দিবাগত রাত তথা শবে বরাতে নফল ইবাদতের প্রতি যত্নবান হওয়া কাম্য।

শবে বরাতের ফজিলত
হজরত মুয়ায বিন জাবাল রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সা. ইরশাদ করেছেন-
يَطْلُعُ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
‘আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে সমগ্র সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান এবং দুই শ্রেণির লোক ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন। আর সেই দুই শ্রেণির লোক হলো, মুশরিক ও অন্য ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী।’(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫; শুয়াবুল ইমান (বায়হাকী), হাদিস : ৩৮৩৩)
এছাড়াও এ রাতের ফজিলত সংক্রান্ত আরো একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিসের আলোকে জানা যায় যে, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময় মাস। এ মাসে বেশি পরিমাণে রোযা রাখা, নফল ইবাদত করা এবং বিশেষত শবে বরাতের রাতে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের জন্য বিনম্রভাবে প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, শাবান মাসের মূল শিক্ষা হলো- নিজেকে পরিশুদ্ধ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। এই মাসকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করলে আমরা রমযানের জন্য আত্মশুদ্ধির প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব, যা আমাদের দ্বিনি জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে শাবান মাসের ফজিলতে বোঝার ও তার যথাযথ হক আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।


লেখক: মুফতি মুখলিছুর রহমান
মুদাররিস: জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম কুষ্টিয়া