পবিত্র শবে মেরাজ আজ। ইসলামে পবিত্র শবে লাইলাতুল মেরাজের রজনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহিমান্বিত রজনী। গত ২ জানুয়ারি থেকে রজব মাস শুরু হয়। সেই হিসেবে আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত।
শবে মেরাজ ফারসি ও আরবি শব্দের সমন্বয় গঠিত। শব শব্দের অর্থ রাত এবং মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। আমাদের প্রিয় নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুমে মহান আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালা’র দিদার লাভ করেছিলেন। মহান আল্লাহর কাছ থেকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন। এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মুসলিম বিশ্বে অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতিবছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতটিকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে।
বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়্যত লাভের একাদশ বছরের অর্থাৎ ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের এ রাতে প্রথমে পবিত্র কা’বা হতে বোরাক নামক বাহনে চড়ে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সাথে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর নবীজির (সা.) সঙ্গে পরিভ্রমণ করেন। এ সময় নবীজি (সা.) বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন। পরে রফরফ নামক বাহনে চড়ে নবীজি (সা.) আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আরশে আজিম পর্যন্ত যাওয়ার ও মহান রব্বুল আলামিনের দিদার লাভের সৌভাগ্য লাভ করেন। নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।