রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

২০২৫ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আমিরাত

২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল জারওয়ানের মতে, আগামী ১ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মানে, বরকতময় মাস শুরু হতে আর মাত্র সাত সপ্তাহ বাকি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাঁদ দেখা ও রমজানের সূচনার ক্ষেত্রে অনেক সময় আধুনিক […]

নিউজ ডেস্ক

১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:০৭

২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল জারওয়ানের মতে, আগামী ১ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মানে, বরকতময় মাস শুরু হতে আর মাত্র সাত সপ্তাহ বাকি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাঁদ দেখা ও রমজানের সূচনার ক্ষেত্রে অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। তবে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে এখনো স্থানীয় পর্যায়ে খালি চোখে চাঁদ দেখার ঐতিহ্য বজায় রাখা হয়। কারণ চাঁদ দেখার এই ঐতিহ্য একদিকে যেমন ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত, অন্যদিকে এটি সামাজিক ঐক্যের একটি প্রতীক।

রমজান আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস। এই মাস মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করা হয়। এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। রমজানের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এই মাসে কুরআন নাজিল হয়েছিল। ফলে মাসটি শুধু সিয়াম সাধনার জন্য নয়, বরং কুরআন অধ্যয়ন ও দান-সদকার জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত। মুসলিমরা রমজান মাসে নামাজ, তারাবিহ, ইফতার ও সাহরির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। এছাড়া গরিব-দুঃখীদের সাহায্যের মাধ্যমে সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চর্চা হয় এই মাসে।

জ্যোতির্বিদ ইব্রাহিম আল জারওয়ানের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৫ সালের রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩০ মার্চ। তবে যদি রমজান ৩০ দিনে হয়, তাহলে ঈদ হবে ৩১ মার্চ।

বাংলাদেশে ভৌগলিক পার্থক্যের কারণে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর রমজান ও ঈদ উদযাপিত হয়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করে, যা প্রতিটি মাসের চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ একদিন পর দেখা যায়। ফলে রমজান মাস শুরু ও ঈদুল ফিতর পালনের তারিখও একদিন পিছিয়ে যায়।

এবারের রমজান মাস ও ঈদের নির্ধারিত তারিখ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে চাঁদ দেখার পর। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের তারিখের পার্থক্যের বিষয়টি মাথায় রেখে মুসলিম উম্মাহকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সূত্র: গালফ নিউজ

ইসলাম ও জীবন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুছে লাখো মুসল্লির ঢল

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে আয়োজিত হলো জশনে জুলুছ। আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া কর্তৃক আয়োজিত এই মহাসমাবেশে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। সমাবেশে যোগ দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশিন হযরত শাহসুফী শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ […]

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুছে লাখো মুসল্লির ঢল

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে আয়োজিত হলো জশনে জুলুছ। আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া কর্তৃক আয়োজিত এই মহাসমাবেশে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।

সমাবেশে যোগ দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশিন হযরত শাহসুফী শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ অল-হাসানী। তাঁর নেতৃত্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হওয়া জুলুছ দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদমপোয়ারা এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উদ্যানে ফিরে আসে। পরে এটি শান্তি সমাবেশে পরিণত হয়।

প্রচলিত ঐতিহ্য অনুযায়ী জশনে জুলুছে অংশ নিতে রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসেন। হাতে ইসলামী পতাকা, কালিমার ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো পরিবেশ। আনন্দমুখর এই শোভাযাত্রা ইসলামের শান্তির বার্তা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়।

শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ অল-হাসানী। তিনি বলেন, “মহানবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমত হয়ে এসেছিলেন। তাঁর দেখানো আদর্শ ও জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করলেই বিশ্বে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম, আর ইসলামের শিক্ষা হলো ভালোবাসা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের।

প্রতিবছরের মতো এবারের জশনে জুলুছেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর বিশেষ নজরদারি।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মনে করছেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামের শান্তি ও সহনশীলতার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে মহানবী (সা.)-এর জীবনদর্শন পৌঁছে দিতে জশনে জুলুছ কার্যকর ভূমিকা রাখছে।