সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

নিজের চরকায় তেল দিন, বন্ধুত্ব চাই দাদাগিড়ি নয় ভারত কে আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের যতটা টেনশন, প্রতিবেশী দেশের তারচেয়ে বেশি টেনশন। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রচারিত প্রোপাগান্ডার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের এত ভাবনার দরকার নাই, নিজেদের নিয়ে ভাবুন, নিজের চরকায় তেল দিন। আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরও থাকতে দিন। তিনি বলেন সব কিছু পরিবর্তন […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩০

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের যতটা টেনশন, প্রতিবেশী দেশের তারচেয়ে বেশি টেনশন।

তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রচারিত প্রোপাগান্ডার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের এত ভাবনার দরকার নাই, নিজেদের নিয়ে ভাবুন, নিজের চরকায় তেল দিন। আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরও থাকতে দিন।

তিনি বলেন সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব কিন্তু প্রতিবেশী নয় ,আপনাদের ভূমি,আমাদের ভূমি পাশাপাশি আসুন আমরাও শান্তিতে থাকি ,আপনারাও শান্তিতে থাকুন বন্ধু হয়ে,আমাদের পররাষ্ট্র নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়।

তিনি বলেন আলহামদুলিল্লাহ,আসুন বন্ধু হয়ে থাকি ,বন্ধুত্ব না করে দাদাগিড়ি করলে কখনই মেনে নেওয়া হবেনা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে ওঠেন আজহারী এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তার বয়ান করেন।

মাহফিলে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবি হজরত ওমর ফারুকের জীবনীসহ বিভিন্ন ইসলামী বিষয় এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি। তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান।

এদিন সকালে আজহারীর মাহফিলস্থলে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন, যার ফলে এলাকার মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কিছুটা বিঘ্নিত হয়।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, মাহফিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল এবং বিশাল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, মাহফিল সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এবং নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করেছে।

ইসলাম ও জীবন

রমজান মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ

পবিত্র রমজান মাসের আগমন মুসলিমদের জন্য অপার আনন্দের বিষয়। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “বলুন, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে, তা এর চেয়ে উত্তম।” (সূরা ইউনুস: ৫৮)। আল্লাহর এই অনুগ্রহের তুলনা কোনো পার্থিব সম্পদের সঙ্গে হতে পারে না, কারণ এটি অনন্ত কল্যাণের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ […]

নিউজ ডেস্ক

০২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৫

পবিত্র রমজান মাসের আগমন মুসলিমদের জন্য অপার আনন্দের বিষয়। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “বলুন, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে, তা এর চেয়ে উত্তম।” (সূরা ইউনুস: ৫৮)। আল্লাহর এই অনুগ্রহের তুলনা কোনো পার্থিব সম্পদের সঙ্গে হতে পারে না, কারণ এটি অনন্ত কল্যাণের প্রতীক।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও রমজানের আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত হতেন। তিনি সাহাবাদের বলতেন, “তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরজ করেছেন। এই মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের বন্দি করা হয়। এই মাসে রয়েছে একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো।” (নাসায়ী, হাদিস নম্বর: ২১০৬)।

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

১. সিয়াম ফরজ হওয়ার মাস
রমজান মাস ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজার মাস। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর একটি হল রমজানের রোজা।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ৮)।

২. কুরআন নাজিলের মাস
রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ বলেন, “রমজান মাস, এতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য দিশারি, স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৫)।

কুরআন কারিম সপ্তম আকাশের লাওহে মাহফুজ থেকে একসঙ্গে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে নাজিল করা হয়েছিল, এরপর ধাপে ধাপে রমজান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ হতে শুরু করে।

৩. জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন রমজান মাস আসে, জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের বন্দি করা হয়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ১০৭৯)।

৪. লাইলাতুল কদরের বরকতময় রাত
আল্লাহ বলেন, “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ এবং রুহ (জিবরাইল) অবতীর্ণ হন প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য। শান্তিই শান্তি, সেই রাত ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত।” (সূরা আল-কদর: ৩-৫)।

৫. রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।” (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নম্বর: ৭০৮২)।

৬. রমজান পাপ মোচনের মাস
যারা সত্যিকারের খাঁটি অন্তরে ইবাদত করেন, তাদের জন্য এই মাস পাপ থেকে মুক্তির সুযোগ এনে দেয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) সাথে রমজানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ২০১৪)।

৭. জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস
তিনি আরও বলেন, “রমজানের প্রথম রাতে শয়তান ও বিদ্রোহী জিনদের বন্দি করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। এ সময় একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন, ‘হে সৎকর্মপরায়ণ! তুমি অগ্রসর হও! হে পাপাচারী! তুমি বিরত হও!’ প্রতি রাতেই বহু মানুষকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।” (তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ৬৮২)।

৮. সৎকাজের প্রতিদান বৃদ্ধি
রমজান মাসে প্রতিটি সৎকর্মের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “রমজানে ওমরাহ করলে তা একটি হজের সমতুল্য।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৭৮২)।

৯. ধৈর্য ও সবরের মাস
রমজান মাস আমাদের ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়। আল্লাহ বলেন, “ধৈর্যশীলদের জন্য বিনা হিসেবে পুরস্কার রয়েছে।” (সূরা আজ-জুমার: ১০)।

১০. মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের মাস
এই মাস মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতির শিক্ষা দেয়। একে অপরকে সাহায্য করা, দান-সদকা বাড়ানো, গরিবদের পাশে দাঁড়ানো—এসব কাজ রমজান মাসে আরও বৃদ্ধি পায়।

আমাদের কর্তব্য কী?

রমজান মাসের এই বিশাল নেয়ামত ও ফজিলতকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে আমাদের অবশ্যই সৎকর্মে ব্রতী হতে হবে। যথাযথভাবে রোজা পালন, বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল অথচ তার গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিতে পারল না, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য।” (তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ৩৫৪৫)।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানের ফজিলত অনুধাবন করে যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলাম ও জীবন

বাংলাদেশে ইসলাম অবমাননা আইনের বাস্তবায়ন চান আজহারি

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, যারা আল্লাহর রাসুল (স.)-এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এবং তাঁকে নিয়ে অবমাননাকর ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে, তাদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। তিনি বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, যাতে ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিশাল তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য দেন তিনি। […]

বাংলাদেশে ইসলাম অবমাননা আইনের বাস্তবায়ন চান আজহারি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০২

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, যারা আল্লাহর রাসুল (স.)-এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এবং তাঁকে নিয়ে অবমাননাকর ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে, তাদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। তিনি বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, যাতে ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিশাল তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য দেন তিনি। সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের লালাপাড়া এলাকায় জাবলুন নূর ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই মাহফিলে হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মাহফিলে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচ্ছিন্ন হয়ে চললে চলবে না, একা থাকলে ব্যক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে; কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকলে শক্তি তৈরি হয়। এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে। আমরা ঐক্যকে ভালোভাবে দেশ গড়ার কাজে ব্যবহার করতে চাই, কিন্তু কিছু মহল এটা মেনে নিতে পারছে না এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশের প্রসঙ্গ টেনে ড. আজহারি বলেন, “আমরা এমন এক দেশের প্রতিবেশী, যে কারণে আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বুঝেশুনে নিতে হয়। আমাদের উচিত দেশের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন এক রাজনৈতিক কাঠামো চাই, যেখানে কেউ কারও ওপর জুলুম করতে পারবে না। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা লুটপাট, সংঘর্ষ, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের সংস্কৃতি দেখে আসছি। এখন সময় এসেছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর, দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।”

জনপ্রিয় এ ইসলামি বক্তা বলেন, নতুন বাংলাদেশে এগুলোর পুনরাবৃত্তি হোক এটা চাই না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে গবেষণা হোক। যে হাতে কলম লেগেছে ওই হাতে যেন অস্ত্রের স্পর্শ না লাগে । আমরা এমন নেতা চাই যে নেতা অসুস্থ হলে আমরা সারা দেশের মানুষ জায়নামাজ বিছিয়ে দোয়া করব।

আজহারী বলেন, শান্তশিষ্ট, শান্তিপ্রিয়, ইসলামপ্রিয় মানুষকে উত্তেজিত করার জন্য নবীকে গালি দেওয়া হচ্ছে। এমন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আমাদের মুখে আনা সম্ভব না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিনীত আবেদন করতে চাই। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা আপনারা নেবেন না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনতা নিজেরাই আইন প্রয়োগ করে বিচার করার দায়িত্ব হাতে তুলে নেবে, এটা আমরা চাই না।

মিজানুর রহমান মাহফিলে প্রায় সোয়া একঘণ্টা বক্তব্য দেন। পরে তিনি ইসলামের আলোকে, আসন্ন রোজা সম্পর্কে রমজানের করণীয় ও ফজিলতের বয়ান পেশ করেন।

জাবলুন নূর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের আমির আবু জর গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। মাহফিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার লক্ষাধিক মানুষ যোগ দেন। মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করে।

আন্তর্জাতিক

পবিত্র রমজান উপলক্ষে আরব আমিরাতে ক্ষমা পাচ্ছেন ১৫১৮ জন কারাবন্দি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তার মহানুভবতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত ১ হাজার ৫১৮ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা এই পবিত্র মাসটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন। এই মানবিক সিদ্ধান্ত দুবাইয়ের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং বন্দিদের […]

পবিত্র রমজান উপলক্ষে আরব আমিরাতে ক্ষমা পাচ্ছেন ১৫১৮ জন কারাবন্দি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩:২৫

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তার মহানুভবতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত ১ হাজার ৫১৮ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা এই পবিত্র মাসটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন। এই মানবিক সিদ্ধান্ত দুবাইয়ের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং বন্দিদের পরিবারগুলো আশার আলো দেখতে পেয়েছে।

দুবাইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যান্সেলর ইশাম ইশা আল-হুমাইদান জানান, শেখ মুহাম্মাদের এই মহানুভবতা শুধুমাত্র আইনি সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি তার উদারতার প্রতিফলন। রমজানের পবিত্রতা ও ক্ষমার বার্তাকে সম্মান জানিয়ে এই বন্দিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুবাই পাবলিক প্রসিকিউশন পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যাতে দ্রুততম সময়ে মুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।

শেখ মুহাম্মাদের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই উদাহরণ হিসেবে দেখছেন, যা কেবল আইনি শাস্তি লাঘব নয়, বরং সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে এবং অপরাধীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, যাতে তারা পুনরায় সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।

এদিকে, আবুধাবিভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু এলাকায় চাঁদ দেখা যেতে পারে। যদি চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই রমজান শুরু হবে। তবে যদি চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে ২ মার্চ থেকে শুরু হবে পবিত্র এই মাস।

আরবি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস রমজান মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস, যখন সারা বিশ্বের মুসলিমরা সংযম পালন করেন এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন। এই মাসটি কেবল আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য নয়, বরং দান-খয়রাত ও সমাজের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোরও সময়। শেখ মুহাম্মাদের এই সিদ্ধান্ত সেই মানবিকতারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার এই উদ্যোগ শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে নয়, বরং সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে, যা দানশীলতা ও ক্ষমার মহান শিক্ষা বহন করে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯