হজরত ঈসা আ. ছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা ও একজন মনোনীত নবী ও রসুল। দুনিয়াতে তাঁর আগমন ছিল অলৌকিক ঘটনায় পরিপূর্ণ। কুরআনে এই ঘটনাগুলোকে আল্লাহর কুদরতের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেননা তিনি একমাত্র নবী যিনি পিতাহীনভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ছিলেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের সুসংবাদদাতা।
আল্লাহ তায়ালার প্রিয় নবী হজরত ঈসা আ. নিজের জন্য এবং আগের ও পরের সব উম্মাহর জন্য উত্তম রিজিকের দোয়া করেছিলেন। দোয়াটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এ দোয়াটি অত্যন্ত পছন্দনীয় হয়ে যায়।
তিনি মানুষকে অভাবমুক্ত রাখার জন্য এ দোয়াটি পবিত্র কুরআনে তুলে ধরেছেন। তাই দারিদ্রতা ও অভাব মোচন করতে এবং উত্তম রিজিক পেতে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া উচিত।
দোয়াটি হলো –
আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনযিল আলাইনা মায়িদাতাম মিনাস সামায়ি তাকুনু লানা ঈদাল্লি আওওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা ওয়া আনতা খায়রুর রাযিকিন।
দোয়াটি অর্থ হলো –
হে আল্লাহ, আমাদের পালনকর্তা! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্য আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রিজিক দিন। আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা। (সুরা মায়েদা: ১১৪)
হজরত ঈসা আ. এর জীবন ও দোয়া আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর জীবন ছিল আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন, এবং তাঁর দোয়া আমাদের জন্য দারিদ্র্য ও অভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি বিশেষ উপায়। তাই আমাদের উচিত উক্ত দোয়াটি নিয়মিত পড়া এবং আল্লাহর কাছে সাচ্চা হৃদয়ে প্রার্থনা করা।