মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। সুস্থতা তার অন্যতম। কিন্তু কখনো কখনো অসুস্থতা আমাদের জীবনে আসে, যা আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করে। তাই এই সময় কোনো অযাচিত মন্তব্য বা ঈমানের বিরোধী কোনো কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা ।
সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর দরবারে বিনীতভাবে দোয়া করতে থাকা। কেননা দোয়া হলো মুমিনের শক্তিশালী অস্ত্র। আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়াকে কবুল করে জীবনে পরিবর্তন আনেন।
এখানে সুস্থতা লাভের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া উল্লেখ করা হলো —
এক.
ওয়া ইজা মারিজতু, ফা হুয়া ইয়াশফি নি।
দোয়ার অর্থ: যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই (মহান আল্লাহই আমাকে) আরোগ্য দান করেন। (সুরা শুয়ারা, আয়াত: ৮০)
দুই.
ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল কোরআনি মা হুয়া শিফাউও, ওয়া রাহমাতুল্লিল মুমিনিন।
দোয়ার অর্থ: আমি (আল্লাহ) কুরআনে এমন কিছু নাজিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৮২)
তিন.
ওয়া ইয়াশফি সুদুরা কাওমি মুমিনিন।
দোয়ার অর্থ: আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও। (সুরা তওবা, আয়াত: ১৪)
চার.
ওয়া শিফা উল্লিমা ফিস সুদুর, ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মুমিনিন।
দোয়ার অর্থ: (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক। (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৭)
পাঁচ.
সুরা ফাতিহাকে সুরাতুশ শিফা বলা হয়। সুরা ফাতিহা পাঠ করে রোগীর শরীরে ফুঁ দিলে বা পানিতে ফুঁ দিয়ে রোগীকে খাওয়ালে আল্লাহ সুস্থতা দান করবেন। আবদুল মালেক ইবনে উমায়ের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘সুরা ফাতেহা সব রোগের মহোষুধ।’ (দারেমি, হাদিস: ৩৪১৩)
প্রতিদিন এই দোয়াগুলো পাঠ করে আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে সুস্থতার নেয়ামত কামনা করলে, তার অসীম রহমত আমাদের জীবনে লাভ করতে পারি।