শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

তাবলিগ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান মিজানুর রহমান আজহারীর

সাত সকালে এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে স্তব্ধ হয়েছেন ইসলামী স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী। এক মুসলিম ভাইয়ের হাতে আরেক মুসলিম ভাই রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মাওলানা আজাহারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিষয় নিয়ে এক বিস্তৃত স্ট্যাটাসে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২২

সাত সকালে এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে স্তব্ধ হয়েছেন ইসলামী স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী। এক মুসলিম ভাইয়ের হাতে আরেক মুসলিম ভাই রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মাওলানা আজাহারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিষয় নিয়ে এক বিস্তৃত স্ট্যাটাসে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

মাওলানা আজাহারী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, নবীজির যুগে যখন আউস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে শত বছরের শত্রুতা চলছিল, তখন নবীজির তাওহিদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সেই শত্রুতা এক ঘণ্টায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।

নবীজির শিক্ষা ছিল স্পষ্ট বড়ত্ব কেবল আল্লাহর জন্য, আর মানুষের উচিত আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজেদের সমর্পণ করা।নবীজি সেই শিক্ষা দিয়েই দুই শত্রু গোত্রকে ভাই-ভাই করে দিয়েছিলেন। মাওলানা আজাহারী বলেন, এটা ছিল ইসলামি ঐক্যের এক বিরাট উদাহরণ।

তিনি তাবলিগ জামাআতের মুরুব্বিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বের এখন দায়িত্ব বেড়ে গেছে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আপনাদের আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তি রক্ষা করা এখন তাবলিগ মুরুব্বিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিবেশী দেশগুলোর গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশে ইসলামি আন্দোলনগুলোকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করতে পারে, আর এই পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হতে পারে।

মাওলানা আজাহারী আরও বলেন, তাবলিগ জামাআতের সাথীদের মাঝে ‘এক উম্মাহ’ কনসেপ্ট সঠিকভাবে শিক্ষিত না হওয়ার বিষয়টি এখন আত্মসমালোচনার দাবি রাখে। অন্যান্য দেশগুলোর তাবলিগ সাথীরা যেখানে নিজ নিজ মতাদর্শ অনুসরণ করেও সংঘর্ষে জড়ায় না, সেখানে আমাদের দেশে এই ধরনের ঘটনার উদ্ভব কেন? কারণ তারা ‘উম্মাহ স্পিরিট’কে সবচেয়ে বড় গুরুত্ব দেয়।

তিনি শামের উদাহরণ দিয়ে বলেন, শামে একাধিক গ্রুপ ছিল, ভিন্ন মতাদর্শও ছিল, কিন্তু তারা মুসলিম স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

সবশেষে মাওলানা আজাহারী তাবলিগ জামাআতের সাথীদের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ন আহ্বান জানিয়ে বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে সংযত হোন। মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানো কখনোই নবিজির উম্মতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। দলীয় স্বার্থকে ছাড়িয়ে উম্মাহ স্পিরিটকে বড় করে দেখুন।

নবীজি আমাদের সতর্ক করে গেছেন আসাবিয়্যাত (জাতীয়তাবাদ) ও গোষ্ঠীস্বার্থের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে। তাই এ ধরনের প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন এবং একে অপরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের পবিত্র দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যান।

মাওলানা আজাহারী এই ঘটনায় শোক ও হতাশা ব্যক্ত করার পাশাপাশি সকল মুসলিমের মধ্যে ঐক্য ও সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আবারও তুলে ধরেন, যা ইসলামি সমাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

ইসলাম ও জীবন

চাঁদ দেখা গেছে সৌদি আরবে, কাল ঈদ

অবশেষে সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট আজ এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছে যে, আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আগামীকাল রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলাদেশের […]

চাঁদ দেখা গেছে সৌদি আরবে, কাল ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৫, ২২:৩৮

অবশেষে সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট আজ এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছে যে, আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশেও আগামীকাল রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির আনুষ্ঠানিক বৈঠক বসার আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে আরবি ভাষায় পোস্ট করে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের আকাশে কাল রবিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশে আগামী সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এই ঘোষণায় বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ঈদের সম্ভাব্য দিন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেলেও, দেশের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত ধরা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের এই ভবিষ্যদ্বাণী এবং সৌদি আরবে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়া বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যেও উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। তবে বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দেশব্যাপী ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে সাধারণত বাংলাদেশে পরদিন ঈদ উদযাপিত হয়।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের এই ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদের আগের দিন বাজার ও শপিং মলে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের প্রথা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে এই ঘোষণা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হতে পারে। এখন সকলের দৃষ্টি দেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির চূড়ান্ত ঘোষণার দিকে।

আন্তর্জাতিক

‘মজলুমকে সাহায্য করা সর্বোত্তম ন্যায়বিচার’

মজলুমকে রক্ষা করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলাম ধর্মের একটি মৌলিক আদর্শ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। ইসলামে মজলুমদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য করা মানবতার অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। মজলুম বলতে বোঝানো হয় তারা যারা শোষণ, অবিচার বা জুলুমের শিকার। অর্থাৎ যাদের অধিকার জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বা যাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা […]

‘মজলুমকে সাহায্য করা সর্বোত্তম ন্যায়বিচার’

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪২

মজলুমকে রক্ষা করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলাম ধর্মের একটি মৌলিক আদর্শ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। ইসলামে মজলুমদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য করা মানবতার অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত।

মজলুম বলতে বোঝানো হয় তারা যারা শোষণ, অবিচার বা জুলুমের শিকার। অর্থাৎ যাদের অধিকার জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বা যাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মজলুমদের সাহায্য ও রক্ষার বিষয়ে ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

ইসলামের বিভিন্ন হাদিসে মজলুমদের সহায়তার গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “মজলুমের দোয়া থেকে সাবধান থাকো, কেননা তার দোয়া আল্লাহর দরবারে সরাসরি পৌঁছে যায়।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, “তোমরা মজলুমকে সাহায্য করো, তা সে মুসলিম হোক কিংবা অমুসলিম। কারণ, মজলুমের দোয়া আল্লাহর দরবারে প্রতিহত হয় না।”

ইসলামে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, জুলুম বা অত্যাচারের শিকার যে কেউ হোক না কেন, তার সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। ইসলামের এই আদর্শ শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাতেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমান বিশ্বে নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষায় ইসলামের এই নির্দেশনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যারা অবিচার ও বৈষম্যের শিকার, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সমগ্র মানবজাতির এগিয়ে আসা উচিত।

এখানে মজলুমদের সহায়তা সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হল:

১. মহানবী-স. বলেছেন, যে জালিমের কাছ থেকে মজলুমের জন্য প্রতিশোধ নেবে সে বেহেশতে আমার সঙ্গী হবে।
২. মহানবী-স. বলেছেন, জুলুম করার ব্যাপারে ও মজলুম হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।
৩. আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, তোমরা সব সময় জালিমের কঠোর শত্রু ও মজলুমের সাহায্যকারী হও।
৪. মজলুমকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার- বলেছেন আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. ।
৫. আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, সর্বোত্তম শাসক তিনি যিনি জুলুমকে ধ্বংস করেন ও ন্যায়বিচারের পুনরুজ্জীবন ঘটান।
৬.ইমাম জাইনুল আবেদিন তথা ইমাম সাজ্জাদ অ. (ইমাম হুসাইনের-আ. পুত্র) বলেছেন, হে আল্লাহ জালিমের সহায়তা করা থেকে ও মজলুম হওয়া থেকে এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা ছাড়াই পরিত্যাগ করা ও যাতে আমার অধিকার নেই তা চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি।
৭. ইমাম বাকির আ. বলেছেন, হে আমার সন্তান! তার ওপর জুলুম করা থেকে বিরত থাক আল্লাহ ছাড়া যার আর সহায়তাকারী নেই।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬২

ইসলাম ও জীবন

আল-আকসায় লাইলাতুল কদরে প্রায় দুই লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণ

ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ। আল-আকসা মসজিদে রমজান মাসজুড়ে ইবাদতকারীদের ভিড় লক্ষ করা গেলেও বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের সন্ধানে শেষ দশকের রাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওয়াকফ বিভাগের তথ্যমতে, […]

আল-আকসায় লাইলাতুল কদরে প্রায় দুই লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৮ মার্চ ২০২৫, ০০:৪১

ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ।

আল-আকসা মসজিদে রমজান মাসজুড়ে ইবাদতকারীদের ভিড় লক্ষ করা গেলেও বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের সন্ধানে শেষ দশকের রাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওয়াকফ বিভাগের তথ্যমতে, রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির রেকর্ড করা হয়েছে। ইসরায়েলের কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি তারাবির নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

লাইলাতুল কদর বা শবেকদর মুসলমানদের জন্য এক মহিমান্বিত রাত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। যদিও সুনির্দিষ্টভাবে এই রাতটি নির্ধারণ করা হয়নি, তবে এটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে যে কোনো একটিতে হতে পারে। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষ এই রাতের ফজিলত লাভের আশায় মুসল্লিরা বিপুল সংখ্যায় আল-আকসা মসজিদে সমবেত হন এবং রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন। নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তাসবিহ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া-মোনাজাতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা।

আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের বিপুল উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ঐক্যবদ্ধ শক্তির চিত্র তুলে ধরে। তবে জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ এবং নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও এতো বিশাল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের এই বিশাল জমায়েত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ ইবাদতের প্রমাণ বহন করে। পাশাপাশি এটি ফিলিস্তিনের মানুষের ধর্মীয় চেতনার অবিচলতার একটি উদাহরণ হিসেবেও প্রতীয়মান হচ্ছে।

আল-আকসা মসজিদে ইবাদতরত মুসল্লিদের এমন জমায়েত বিশ্ব মুসলিমের কাছেও গভীর অনুভূতির সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এই মসজিদে ইবাদতের মাধ্যমে মুসল্লিরা তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে শান্তি ও রহমত প্রার্থনা করেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আল-আকসা মসজিদে তারাবির নামাজে অংশগ্রহণকারী বিপুল মুসল্লির খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিশাল জনসমাগম মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়েও একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে।