বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালি আলেমদের অমূল্য অবদান

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় সংগ্রাম। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তির লড়াইয়ে কেবল সাধারণ মানুষ নয়, দেশের আলেম সমাজও ছিল অগ্রভাগে। তাদের অংশগ্রহণ ছিল একাধিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার পর মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান ছিল সঙ্গতি ও সংগ্রামের নিদর্শন। স্বাধীনতা অর্জনে আলেমরা যেভাবে নেতৃত্ব […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৭

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় সংগ্রাম। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তির লড়াইয়ে কেবল সাধারণ মানুষ নয়, দেশের আলেম সমাজও ছিল অগ্রভাগে। তাদের অংশগ্রহণ ছিল একাধিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার পর মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান ছিল সঙ্গতি ও সংগ্রামের নিদর্শন।

স্বাধীনতা অর্জনে আলেমরা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ও নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তা আজও আমাদের প্রেরণা যোগায়। আজ আমরা তাদের সম্পর্কে জানবো ইনশাআল্লাহ ।

১. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সঙ্গী ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে জনমত গঠনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।

২. হাফেজ প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন হাফেজে কুরআন। তিনি যুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেন এবং দেশ মুক্তির লক্ষ্যে এক অগ্রণী নেতা হিসেবে কাজ করেন।

৩. শহীদ আলেম বুদ্ধিজীবী মাওলানা অলিউর রহমান
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন আলেম ছিলেন মাওলানা অলিউর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে পুস্তিকা রচনা করতেন। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ তার অকাল শহীদ হন আলবদর বাহিনীর হাতে।

৪. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের আলেমরা
মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ ও মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী দুই ভাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কুরআনভিত্তিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সচেতন করেন।

৫. যোদ্ধা সংগ্রাহক মুফতি আব্দুস সোবহান
চট্টগ্রামের মুফতি আব্দুস সোবহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি নিজে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন এবং তরুণদের সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেন।

৬. গেরিলা যোদ্ধা মাওলানা আবদুর রহমান
কুমিল্লার মাওলানা আবদুর রহমান ছিলেন একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি যুদ্ধের শুরুতে প্রশিক্ষণ নিয়ে একাধিক গেরিলা অভিযানে অংশ নেন ও দেশ স্বাধীন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

৭. লিফলেট বিতরণকারী মাওলানা আবু ইসহাক
রাঙামাটির মাওলানা আবু ইসহাক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করতেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে জাগ্রত করতেন। রাজাকার বাহিনী তাকে খুঁজতে শুরু করলে তিনি গভীর জঙ্গলে আত্মগোপন করেন।

৮. মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের অংশগ্রহণকারী মাওলানা আবদুস সোবহান
মাওলানা আবদুস সোবহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন করেন এবং তার নেতৃত্বে শতাধিক যোদ্ধা সংগ্রহ করা হয়।

৯. মাওলানা দলিলুর রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রাম
মাওলানা দলিলুর রহমান রাঙ্গুনিয়ায় প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকেই আলেম সমাজকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

১০. মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সেনা কর্মকর্তা মাওলানা নূরুল আফসার
মাওলানা নূরুল আফসার ফেনী ও নাজিরহাট অঞ্চলের একাধিক মুক্তিযুদ্ধের অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে সার্জেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১১. মসজিদে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দানকারী মাওলানা মতিউল ইসলাম
নারায়ণগঞ্জের মিলনপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা মতিউল ইসলাম যুদ্ধকালীন সময়ে মসজিদে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সুরক্ষা প্রদান করেন।

১২. সংবাদ সংগ্রহকারী মাওলানা মির্জা মোহাম্মদ নূরুল হক
কুড়িগ্রামের মাওলানা মির্জা মোহাম্মদ নূরুল হক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংবাদ সংগ্রহ করতেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতেন।

১৩. তিস্তা ব্রিজ দখলকারী মাওলানা আমজাদ হোসেন
মাওলানা আমজাদ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সময় তিস্তা ব্রিজ অপারেশনে অংশ নিয়ে দীর্ঘ ১৩ দিন যুদ্ধ করে ব্রিজটি দখল করেন।

১৪. প্রকাশ্যে জীবন উৎসর্গকারী মাওলানা আবুল হাসান
মাওলানা আবুল হাসান যশোর রেলস্টেশন মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন এবং পাকিস্তানি বাহিনী তার মাদরাসায় হামলা চালিয়ে তাকে শহীদ করে। তার আত্মত্যাগ দেশের স্বাধীনতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এইসব আলেমরা শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, বরং তারা মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেন। তারা দেশে এবং বিদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি পদক্ষেপে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের অবদান আজও বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের এই সাহসিকতা ও ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত, কেননা তারা প্রমাণ করেছেন, ধর্ম, জাতি, ও স্বাধীনতার সংগ্রামে কখনো কোনো বিভেদ হতে পারে না, বরং একসঙ্গে এগিয়ে চলা ছাড়া মুক্তি সম্ভব নয়।

ইসলাম ও জীবন

চাঁদ দেখা গেছে সৌদি আরবে, কাল ঈদ

অবশেষে সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট আজ এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছে যে, আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আগামীকাল রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলাদেশের […]

চাঁদ দেখা গেছে সৌদি আরবে, কাল ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৫, ২২:৩৮

অবশেষে সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট আজ এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছে যে, আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশেও আগামীকাল রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির আনুষ্ঠানিক বৈঠক বসার আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে আরবি ভাষায় পোস্ট করে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের আকাশে কাল রবিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশে আগামী সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এই ঘোষণায় বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ঈদের সম্ভাব্য দিন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেলেও, দেশের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত ধরা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের এই ভবিষ্যদ্বাণী এবং সৌদি আরবে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়া বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যেও উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। তবে বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দেশব্যাপী ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে সাধারণত বাংলাদেশে পরদিন ঈদ উদযাপিত হয়।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের এই ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদের আগের দিন বাজার ও শপিং মলে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের প্রথা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে এই ঘোষণা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হতে পারে। এখন সকলের দৃষ্টি দেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির চূড়ান্ত ঘোষণার দিকে।

আন্তর্জাতিক

‘মজলুমকে সাহায্য করা সর্বোত্তম ন্যায়বিচার’

মজলুমকে রক্ষা করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলাম ধর্মের একটি মৌলিক আদর্শ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। ইসলামে মজলুমদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য করা মানবতার অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। মজলুম বলতে বোঝানো হয় তারা যারা শোষণ, অবিচার বা জুলুমের শিকার। অর্থাৎ যাদের অধিকার জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বা যাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা […]

‘মজলুমকে সাহায্য করা সর্বোত্তম ন্যায়বিচার’

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪২

মজলুমকে রক্ষা করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলাম ধর্মের একটি মৌলিক আদর্শ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। ইসলামে মজলুমদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য করা মানবতার অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত।

মজলুম বলতে বোঝানো হয় তারা যারা শোষণ, অবিচার বা জুলুমের শিকার। অর্থাৎ যাদের অধিকার জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বা যাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মজলুমদের সাহায্য ও রক্ষার বিষয়ে ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

ইসলামের বিভিন্ন হাদিসে মজলুমদের সহায়তার গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “মজলুমের দোয়া থেকে সাবধান থাকো, কেননা তার দোয়া আল্লাহর দরবারে সরাসরি পৌঁছে যায়।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, “তোমরা মজলুমকে সাহায্য করো, তা সে মুসলিম হোক কিংবা অমুসলিম। কারণ, মজলুমের দোয়া আল্লাহর দরবারে প্রতিহত হয় না।”

ইসলামে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, জুলুম বা অত্যাচারের শিকার যে কেউ হোক না কেন, তার সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। ইসলামের এই আদর্শ শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাতেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমান বিশ্বে নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষায় ইসলামের এই নির্দেশনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যারা অবিচার ও বৈষম্যের শিকার, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সমগ্র মানবজাতির এগিয়ে আসা উচিত।

এখানে মজলুমদের সহায়তা সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হল:

১. মহানবী-স. বলেছেন, যে জালিমের কাছ থেকে মজলুমের জন্য প্রতিশোধ নেবে সে বেহেশতে আমার সঙ্গী হবে।
২. মহানবী-স. বলেছেন, জুলুম করার ব্যাপারে ও মজলুম হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।
৩. আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, তোমরা সব সময় জালিমের কঠোর শত্রু ও মজলুমের সাহায্যকারী হও।
৪. মজলুমকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার- বলেছেন আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. ।
৫. আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, সর্বোত্তম শাসক তিনি যিনি জুলুমকে ধ্বংস করেন ও ন্যায়বিচারের পুনরুজ্জীবন ঘটান।
৬.ইমাম জাইনুল আবেদিন তথা ইমাম সাজ্জাদ অ. (ইমাম হুসাইনের-আ. পুত্র) বলেছেন, হে আল্লাহ জালিমের সহায়তা করা থেকে ও মজলুম হওয়া থেকে এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা ছাড়াই পরিত্যাগ করা ও যাতে আমার অধিকার নেই তা চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি।
৭. ইমাম বাকির আ. বলেছেন, হে আমার সন্তান! তার ওপর জুলুম করা থেকে বিরত থাক আল্লাহ ছাড়া যার আর সহায়তাকারী নেই।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৪৪

ইসলাম ও জীবন

আল-আকসায় লাইলাতুল কদরে প্রায় দুই লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণ

ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ। আল-আকসা মসজিদে রমজান মাসজুড়ে ইবাদতকারীদের ভিড় লক্ষ করা গেলেও বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের সন্ধানে শেষ দশকের রাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওয়াকফ বিভাগের তথ্যমতে, […]

আল-আকসায় লাইলাতুল কদরে প্রায় দুই লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৮ মার্চ ২০২৫, ০০:৪১

ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ।

আল-আকসা মসজিদে রমজান মাসজুড়ে ইবাদতকারীদের ভিড় লক্ষ করা গেলেও বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের সন্ধানে শেষ দশকের রাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওয়াকফ বিভাগের তথ্যমতে, রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির রেকর্ড করা হয়েছে। ইসরায়েলের কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি তারাবির নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

লাইলাতুল কদর বা শবেকদর মুসলমানদের জন্য এক মহিমান্বিত রাত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। যদিও সুনির্দিষ্টভাবে এই রাতটি নির্ধারণ করা হয়নি, তবে এটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে যে কোনো একটিতে হতে পারে। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষ এই রাতের ফজিলত লাভের আশায় মুসল্লিরা বিপুল সংখ্যায় আল-আকসা মসজিদে সমবেত হন এবং রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন। নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তাসবিহ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া-মোনাজাতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা।

আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের বিপুল উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ঐক্যবদ্ধ শক্তির চিত্র তুলে ধরে। তবে জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ এবং নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও এতো বিশাল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের এই বিশাল জমায়েত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ ইবাদতের প্রমাণ বহন করে। পাশাপাশি এটি ফিলিস্তিনের মানুষের ধর্মীয় চেতনার অবিচলতার একটি উদাহরণ হিসেবেও প্রতীয়মান হচ্ছে।

আল-আকসা মসজিদে ইবাদতরত মুসল্লিদের এমন জমায়েত বিশ্ব মুসলিমের কাছেও গভীর অনুভূতির সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এই মসজিদে ইবাদতের মাধ্যমে মুসল্লিরা তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে শান্তি ও রহমত প্রার্থনা করেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আল-আকসা মসজিদে তারাবির নামাজে অংশগ্রহণকারী বিপুল মুসল্লির খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিশাল জনসমাগম মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়েও একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে।