রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

মসজিদে হারাম ও নববিতে আজ জুমার খুতবা দেবেন যারা

আজ (শুক্রবার, ১২ জমাদিউস সানি, ১৩ ডিসেম্বর) মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে জুমার নামাজের ইমামতি ও খুতবা দেবেন দুই প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার। মসজিদে হারাম মক্কার মসজিদে হারামে আজ জুমার নামাজের ইমামতি করবেন সুপরিচিত ইসলামিক স্কলার ও কারি শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবী। শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবী ১৯৬৫ সালে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উম্মুল কুরা […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬

আজ (শুক্রবার, ১২ জমাদিউস সানি, ১৩ ডিসেম্বর) মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে জুমার নামাজের ইমামতি ও খুতবা দেবেন দুই প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার।

মসজিদে হারাম

মক্কার মসজিদে হারামে আজ জুমার নামাজের ইমামতি করবেন সুপরিচিত ইসলামিক স্কলার ও কারি শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবী।

শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবী ১৯৬৫ সালে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৯৬ সালে মাস্টার্স এবং ২০০২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০৮ সালে তিনি মসজিদে হারামের ইমাম ও ২০১৬ সালে খতিব নিযুক্ত হন। তিনি উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটির কুরআন তিলাওয়াত অনুষদের প্রেসিডেন্ট।

মসজিদে নববি

মদিনার মসজিদে নববিতে আজ জুমার নামাজের ইমামতি করবেন শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল বুয়াইজান, মদিনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটির একজন বিশিষ্ট ফ্যাকাল্টি সদস্য।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আলে সৌদের রাজকীয় আদেশে তিনি মসজিদে নববির খতিব হিসেবে নিয়োগ পান।

এর আগে ১৪৩৪ হিজরিতে বাদশাহ আবদুল্লাহ তাকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। তার চমৎকার কুরআন তেলাওয়াতের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

এ দুই শায়খের ইমামতি ও খুতবা আজকের জুমার নামাজকে আরও বিশেষ ও আত্মার প্রশান্তির অনুভূতি প্রদান করবে।ইনশাআল্লাহ।

সূত্র: ইনসাইড দ্য হারামাইন

ইসলাম ও জীবন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুছে লাখো মুসল্লির ঢল

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে আয়োজিত হলো জশনে জুলুছ। আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া কর্তৃক আয়োজিত এই মহাসমাবেশে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। সমাবেশে যোগ দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশিন হযরত শাহসুফী শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ […]

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুছে লাখো মুসল্লির ঢল

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে আয়োজিত হলো জশনে জুলুছ। আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া কর্তৃক আয়োজিত এই মহাসমাবেশে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।

সমাবেশে যোগ দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশিন হযরত শাহসুফী শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ অল-হাসানী। তাঁর নেতৃত্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হওয়া জুলুছ দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদমপোয়ারা এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উদ্যানে ফিরে আসে। পরে এটি শান্তি সমাবেশে পরিণত হয়।

প্রচলিত ঐতিহ্য অনুযায়ী জশনে জুলুছে অংশ নিতে রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসেন। হাতে ইসলামী পতাকা, কালিমার ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো পরিবেশ। আনন্দমুখর এই শোভাযাত্রা ইসলামের শান্তির বার্তা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়।

শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ অল-হাসানী। তিনি বলেন, “মহানবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমত হয়ে এসেছিলেন। তাঁর দেখানো আদর্শ ও জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করলেই বিশ্বে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম, আর ইসলামের শিক্ষা হলো ভালোবাসা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের।

প্রতিবছরের মতো এবারের জশনে জুলুছেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর বিশেষ নজরদারি।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মনে করছেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামের শান্তি ও সহনশীলতার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে মহানবী (সা.)-এর জীবনদর্শন পৌঁছে দিতে জশনে জুলুছ কার্যকর ভূমিকা রাখছে।