বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

টানা তিন জুমা না পড়লে যে গুরুতর পাপ হয়

‘জুমা’ শব্দটি ‘জমf’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো একত্র হওয়া বা একত্র করা। এই দিনটি ইসলামে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দিনটি আল্লাহর দেয়া দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। সপ্তাহের ঈদ শুক্রবার, এবং ইসলামে এই দিনটির মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই সকল দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে জুমার […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১

‘জুমা’ শব্দটি ‘জমf’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো একত্র হওয়া বা একত্র করা। এই দিনটি ইসলামে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দিনটি আল্লাহর দেয়া দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। সপ্তাহের ঈদ শুক্রবার, এবং ইসলামে এই দিনটির মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই সকল দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে জুমার নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন,হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো।

ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে! আর যখন নামাজ শেষ হয়, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর। আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার।(সুরা জুমা: ৯-১০)

জুমার নামাজের পাপ মোচন

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে; যদি সেই ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।(মুসলিম: ২৩৩)

জুমা নামাজ ত্যাগের শাস্তি

জুমার নামাজের প্রতি এতো গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, যারা বিনা ওজরে এই নামাজ ত্যাগ করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে (কোনো কারণ ছাড়া) ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন।(তিরমিজি, আবু দাউদ)

এই শাস্তির পর, সেই ব্যক্তি আত্মভোলা হয়ে যাবে ও সংশোধনের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবে। (মুসলিম)

জুমা নামাজ ত্যাগের শাস্তি ও বিধিনিষেধ

চার শ্রেণির লোক ছাড়া, জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ হিসেবে গণ্য। এই চার শ্রেণি হল-
১. ক্রীতদাস
২. স্ত্রীলোক
৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক
৪. মুসাফির (যারা সফরে রয়েছেন) ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি

ইসলামকে অবমূল্যায়ন

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে,যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল।(মুসলিম)

পরপর তিন জুমা নামাজ আদায় না করা ইসলামের প্রতি বড় অবমাননা ,যার ফলে উক্ত ব্যক্তি সংশোধনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে।

জুমার নামাজের গুরুত্ব ইসলামে অত্যন্ত বড়। আল্লাহর কাছে এর মর্যাদা অসীম, এবং মুসলমানদের জন্য এটা একটি বিশেষ দিনে একত্রিত হয়ে ইবাদত করার সুযোগ।

যারা এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করেন, তারা আল্লাহর কাছে বিশেষ পুরস্কারের অধিকারী হন। তাই আমাদের উচিত, এই মহান দিনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে, যথাসময়ে জুমার নামাজ আদায় করা ও এর সঠিক মর্যাদা রক্ষা করা।

ইসলাম ও জীবন

জুমার দিনের মর্যাদা ও দোয়া কবুলের বিশেষ সময়: এক গভীর বার্তা

জুমার দিন মুসলমানদের জন্য এক অতি মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দিন, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ উপহার হিসেবে দান করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি শুধু একটি নামাজের দিন নয়, বরং এটি একটি ইবাদতের উৎসব, দোয়া কবুলের মোক্ষম সুযোগ এবং রুহানিয়াতের পূর্ণদিবস। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন— “হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনের নামাজের আজান দেওয়া […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ মে ২০২৫, ১২:০৩

জুমার দিন মুসলমানদের জন্য এক অতি মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দিন, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ উপহার হিসেবে দান করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি শুধু একটি নামাজের দিন নয়, বরং এটি একটি ইবাদতের উৎসব, দোয়া কবুলের মোক্ষম সুযোগ এবং রুহানিয়াতের পূর্ণদিবস।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন—

“হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনের নামাজের আজান দেওয়া হলে, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।”
(সূরা জুমু’আ, আয়াত ৯)

এই আয়াতের আলোকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, জুমার আজানের পর পার্থিব সকল কাজ ত্যাগ করে নামাজ ও খুতবার দিকে ধাবিত হওয়া ঈমানদারের জন্য অপরিহার্য। এমনকি ইসলামী ফিকাহ অনুসারে, এ সময়ে কেনা-বেচা করা হারাম হিসেবে গণ্য হয়।

হাদীসে জুমার ফজিলত ও দোয়া কবুলের সময়
হযরত আনাস (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন:

“হযরত জিবরাঈল (আ.) আমার কাছে একটি সাদা কাচের টুকরা নিয়ে এলেন এবং বললেন, ‘এটি জুমার দিন, যা তোমার প্রতিপালক তোমার ওপর ফরজ করেছেন। এতে একটি সময় আছে, যখন কোনো বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলেই তা অবশ্যই কবুল করা হয়।’”
(সহিহ হাদীস – মুসনাদ আহমদ, সংক্ষেপে)

হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:

“নিশ্চয়ই জুমার দিনে একটি মুহূর্ত রয়েছে, সেই মুহূর্তে যদি কোনো মুসলিম বান্দা কল্যাণকর কিছু চায়, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তা কবুল করে নেন।”
(সহিহ বুখারী: ৮৫২; সহিহ মুসলিম)

দোয়া কবুলের সম্ভাব্য সময় দুটি প্রসিদ্ধ মতানুসারে ইসলামী স্কলারদের মধ্যে দুইটি মত প্রসিদ্ধ:

১. খুতবা শুরু থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়।
২. আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়।

এই দুটি সময়ই ইমাম আবু উমর ইবনে আব্দুল বার (রহ.) গুরুত্বের সাথে দোয়া করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন:

“প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এই দুটি সময়ে আন্তরিকভাবে দোয়া করা, তাহলে ইনশাআল্লাহ তার দোয়া বিফল হবে না।”
(আততামহীদ, খণ্ড ১৯, পৃষ্ঠা ২৪)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জুমার ফজিলত বোঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন।

উপসংহার: জুমার দিনে কী করণীয়?
🔹 আজানের পরপরই পার্থিব সকল ব্যস্ততা পরিহার করে মসজিদের দিকে ধাবিত হওয়া।
🔹 খুতবা ও নামাজে মনোযোগী হওয়া এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকা।
🔹 জুমার দিনে বিশেষভাবে আসরের পর সময়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দোয়া করা।
🔹 নিজের ও উম্মতের কল্যাণের জন্য নিরবিচারে দোয়া করা।

“যে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ খুলে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিযিক দেন, যেখান থেকে সে কল্পনাও করে না।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াত ২-৩)

আন্তর্জাতিক

আল-আকসায় হাজারো ফিলিস্তিনির ঈদের নামাজ আদায়

আল-আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়—এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মপরিচয়, অধিকার ও ইতিহাসের অংশ। ঈদের দিনে সেখানে নামাজ আদায় করা মানে হলো, নিপীড়নের মধ্যেও অস্তিত্বের ঘোষণা দেওয়া।

নিউজ ডেস্ক

০৬ জুন ২০২৫, ১৬:২০

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজে সমবেত হন হাজারো ফিলিস্তিনি। পবিত্রতা আর প্রতিরোধের প্রতীক এই প্রাঙ্গণে শুক্রবার (৬ জুন) সকালে মুসল্লিরা সুশৃঙ্খলভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদে এমন আয়োজনে ঈদের আনন্দ আর সংকল্প একসঙ্গে মিশে যায় ফিলিস্তিনি চেতনায়।

রয়টার্স জানায়, নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। অনেক শিশু, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে অংশ নেয়—যা এই আগ্রাসী বাস্তবতার মধ্যেও জীবনের এক অবিচল প্রতিচ্ছবি।

আল-আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়—এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মপরিচয়, অধিকার ও ইতিহাসের অংশ। ঈদের দিনে সেখানে নামাজ আদায় করা মানে হলো, নিপীড়নের মধ্যেও অস্তিত্বের ঘোষণা দেওয়া।

কিন্তু এই প্রার্থনার বিপরীতে, গাজার আকাশে তখনো বোমার শব্দ। ঈদের দিনে গাজা উপত্যকার জনগণ উদযাপন নয়—বেছে নিচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই ঈদ উদযাপন করছে গাজাবাসী।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে কিছু শিশু ও যুবককে ঈদের নামাজ পড়তে দেখা গেছে—জীবনের স্বাভাবিকতাকে ধরে রাখার এক ক্ষীণ প্রচেষ্টা মাত্র। আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, গাজা থেকে আহত হয়ে দোহার বিভিন্ন হাসপাতালে অবস্থান করা কিছু ফিলিস্তিনি কাতারের আল-থুমামা কমপ্লেক্সে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন। ফিলিস্তিনি চিত্র সাংবাদিক বিলাল খালেদ ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায়—দোহায় ঈদের জামাতে অংশ নিচ্ছে শরণার্থী শিশুরা।

তবে ঈদের সকালেও থেমে থাকেনি ইসরায়েলের হামলা। খান ইউনিস, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবির ও তুফাহ পাড়ায় চালানো সামরিক অভিযানে বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে সরাসরি গুলিতে।

এটাই গাজার ঈদ—আল-আকসার মিনারে যখন তাকবির ধ্বনি উঠছে, তখন গাজার ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে পড়ছে রক্ত আর কান্না। উৎসব ও আতঙ্ক, প্রার্থনা ও প্রতিরোধ—এই দুই মেরুতে বিভক্ত ফিলিস্তিন আজও দাঁড়িয়ে আছে নিজের অস্তিত্বের প্রশ্নে।

বিশ্ব যখন ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত, তখন ফিলিস্তিনিরা প্রমাণ দিচ্ছে—ধ্বংসের মধ্যেও বিশ্বাস, রক্তের ভেতরেও প্রার্থনার আলো কখনো নিভে না।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ১২৬২