সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
২৮ পৌষ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

উত্তরপ্রদেশের এলাকা উত্তপ্ত ,বন্ধ স্কুল ও ইন্টারনেট পরিষেবা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫

উত্তরপ্রদেশের  এলাকা উত্তপ্ত ,বন্ধ স্কুল ও ইন্টারনেট পরিষেবা

ভারতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুঘল যুগের একটি প্রাচীন মসজিদে ‘সার্ভে’ বা সমীক্ষা করানোর নির্দেশকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের মধ্যে রোববার (২৪ নভেম্বর) দফায় দফায় তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন। এনিয়ে অঞ্চলটিতে স্কুল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার জন্য সম্ভল তহসিলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন ২৫ নভেম্বর ১২ শ্রণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে।

এ ছাড়া কর্মকর্তারা বহিরাগত, সোশ্যাল অর্গানাইজেশন বা জনপ্রতিনিধিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অঞ্চলটিতে প্রবেশে নিষেধ করেছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকালের সহিংসতায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন পুলিশের সদস্য। ঘটনার পর পুরো এলাকায় তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে।

শহরের যে মসজিদটিকে ঘিরে এই বিরোধ, সেটি ‘শাহী জামা মসজিদ’ নামে পরিচিত।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির দাবি, প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ভেঙেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, ওই ভবনের স্থাপত্যে এখনও যার প্রমাণ রয়েছে।

এই দাবিকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসিলম গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আদালতে আইনি লড়াইও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি আদালত ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে সার্ভে করানোর নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।

ওই মসজিদ ভবনটিতে আগে কোনও হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল কিনা, সেটা যাচাই করে দেখার জন্যই ওই সার্ভের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্ভালের পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার সকালে প্রশাসনের একজন ‘অ্যাডভোকেট কমিশনারে’র নেতৃত্বে একটি সার্ভে টিম মসজিদে তাদের কাজ শুরু করতেই বাইরে বিরাট জনতা জড়ো হয়ে যায় এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সহিংসতা শুরু হয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, প্রায় এক হাজার মানুষ তখন মসজিদের বাইরে ছিল– যারা তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ও ইটপাটকেল ছোড়া হতে থাকে।

ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত জনতা রাস্তায় অন্তত ১০টি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ বাহিনীও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে ও লাঠিচার্জ শুরু করে।

এরপর ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত তিন জন নিহত হয় এবং ৩০জন পুলিশকর্মীও জখম হন।

এ সম্পর্কিত আরো খবর