শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহর মিডিয়া শক্তি বেদনাদায়ক বলে ইসরাইলের স্বীকারোক্তি

আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা লেবাননে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধান মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসিকে শহীদ করার জন্য ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর পদক্ষেপকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অপারেশনের বেদনাদায়ক কার্যক্রমের লক্ষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রোববার ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলায় লেবাননের হিজবুল্লাহর মিডিয়া সম্পর্কিত বিভাগের প্রধান এবং সংগঠনটির মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসি […]

নিউজ ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১

আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা লেবাননে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধান মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসিকে শহীদ করার জন্য ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর পদক্ষেপকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অপারেশনের বেদনাদায়ক কার্যক্রমের লক্ষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

রোববার ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলায় লেবাননের হিজবুল্লাহর মিডিয়া সম্পর্কিত বিভাগের প্রধান এবং সংগঠনটির মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসি শহীদ হন।

পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহীদ মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসি যিনি লেবাননে “হাজ মুহাম্মদ” নামে পরিচিত ছিলেন তিনি ১৯৮৩ সালে হিজবুল্লাহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে তিনি পরিচিতি পান। প্রথম থেকেই তিনি হিজবুল্লাহ আন্দোলনের কাঠামো গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং সময়ের সাথে সাথে তিনি হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

২০১৪ সালে শহীদ আফিফ হিজবুল্লাহর মিডিয়া রিলেশন অফিসারের পদে নিযুক্ত হন এবং একজন মিডিয়া সমন্বয়ক হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে হিজবুল্লাহর আন্দোলনের বার্তা বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সঙ্কট ও সংঘাত চলার সময়ে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের এর পর ইহুদিবাদী শাসকদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞের সময় শহীদ আফিফ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি হিজবুল্লাহর দৃঢ় সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে তার দল মুসলিম দেশগুলির পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত থাকবে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবাননে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহৃ শহীদ হওয়ার পর লেবাননের হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধান প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসছিলেন।

শহীদ আফিফ সম্প্রতি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর হুমকিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন: আমরা হামলাকে ভয় পাই না, আমাদেরকে হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। আমাদের ইচ্ছা দৃঢ় এবং আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর হাতে মোহাম্মদ আফিফের শাহাদত বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ এক্স চ্যানেলের ইরানি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এসেছে।

মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসির শাহাদাতের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পীকারের রাজনৈতিক ও মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদ আহদিয়ান আফিফির শাহাদাতের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, হিজবুল্লাহ আর লেবাননের ভিতরে সীমাবদ্ধ নেই বরং হিজবুল্লাহর পতাকা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গর্বের সাথে উড়ানো হচ্ছে।

ইরানের সাবেক সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিক নির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসেইনি এবং ইরানি ফুটবলার মেহেদি তোরাবি অন্যান্য বিশিষ্ট ইরানি এক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন যারা হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধানের শাহাদাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

শহীদ মোহাম্মদ আফিফ আল নাবুলসিকে একজন সাহসি মুজাহিদ হিসেবে পরিচয় করিয়ে মোহাম্মদ হোসেইনি বলেন, তিনি লেবাননের সাহসী পুরুষ ও নারীদের প্রতিরোধের উচ্চ কণ্ঠস্বর এবং প্রতিক।

ইরানী ফুটবল খেলোয়াড় মেহেদি তোরাবি এক্সে এ সম্পর্কে লিখেছেন, তিনি তার নিজের কণ্ঠে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর নানা অপরাধযজ্ঞের বর্ণনাকারী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মাহদি রহিমি এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আরেকটি বার্তায় লিখেছেনন, মোহাম্মদ আফিফকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী শাসনের বারবার প্রচেষ্টা এই শাসনের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর মিডিয়া কার্যক্রমের বেদনাদায়ক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে।#

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪