বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের সামিরক বাহিনী শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করতে সস্তা ও সহজ উপায় খোঁজ করছে। এজন্য দেশগুলো ইরানের উন্নত “শাহেদ ড্রোন” কপি করতে চায়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশ ইরানের “শাহেদ” ড্রোন কপি করতে আগ্রহী। আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডও এর ব্যতিক্রম নয়।
পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, ইউক্রেনে ইরানি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়া ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালানোর কারণে আমেরিকা ও তার মিত্ররা এখন এই সস্তা ও দূরপাল্লার ড্রোনের মতো ড্রোন তৈরি করতে চায় এবং এ ধরণের ড্রোনের অধিকারী হতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, ড্রোন একইসাথে সস্তা ও নিখুঁত হতে পারে। কিছু হিসাব অনুযায়ী, ইরানি শাহেদ ড্রোনের দাম মাত্র সস্তা এবং এটি দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে উড়ে যেতে সক্ষম। ইরানে তৈরি এই ড্রোন বিশেষভাবে শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপে ফেলতে এবং ফাঁকি দিতে অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর কমান্ডার আন্দ্রে স্টোর বলেছেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, সাশ্রয়ী ও দূরপাল্লার ড্রোন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো এই ক্ষেত্রে ভালো অবস্থায় নেই। যুদ্ধের জন্য বিপুল অর্থের দরকার।”
বর্তমানে আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডসহ বহু দেশের কোম্পানি শাহেদ এর মতো ড্রোন নিয়ে কাজ করছে। ইউক্রেনও অন্তত গত দুই বছর ধরে দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি শাহেদের মতো ড্রোন ব্যবহার করছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখনো এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে এবং তারা উচ্চ ব্যয়ের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তৈরি “শাহেদ ড্রোন” এখন বিশ্বের সামরিক অঙ্গনে আলোচনার শীর্ষে, আর প্রায় সব দেশই এই ড্রোনের কপি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বজুড়ে সামরিক বাহিনী সস্তা ও কার্যকর উপায়ে শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার পথ খুঁজছে, আর সেজন্যই ইরানি ড্রোনের নকশা নকল করতে আগ্রহী তারা। এমনকি আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিগুলোও এর বাইরে নয়।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়া ইরানি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর পর আমেরিকা ও তার মিত্ররা এই দূরপাল্লার ড্রোনের মতো অস্ত্র তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়েছে, ড্রোন একদিকে যেমন তুলনামূলকভাবে সস্তা, অন্যদিকে আবার ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, একটি শাহেদ ড্রোনের দাম খুবই কম হলেও তা দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অচল করে দিতে এবং ফাঁকি দিতে ইরানি এই প্রযুক্তি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর কমান্ডার আন্দ্রে স্টোর মন্তব্য করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘপাল্লার ড্রোনের গুরুত্ব কতটা বেশি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো এই খাতে এখনও অনেক পিছিয়ে আছে এবং যুদ্ধ চালাতে তাদের বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। বর্তমানে আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডসহ একাধিক দেশের কোম্পানি শাহেদের মতো ড্রোন তৈরির প্রকল্পে কাজ করছে। ইউক্রেনও অন্তত দুই বছর ধরে দূরপাল্লার ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি শাহেদ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমারা এখনও ব্যয়, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং ধীরগতির কারণে ইরানের তুলনায় পিছিয়ে আছে; ফলে শাহেদ ড্রোন বিশ্বে সাশ্রয়ী অথচ ভয়ঙ্কর কার্যকর সামরিক প্রযুক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?