রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি পর্যটক কম , কলকাতার ব্যবসায় ধস

কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক এলাকা, যা ‘মিনি বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়িক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় কলকাতার হোটেল এবং দোকানগুলোর ব্যবসা বিপর্যয়ের মুখে। ব্যবসায়ীরা এ পরিস্থিতিকে করোনার পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে উল্লেখ করেছেন। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে কলকাতার হোটেলগুলোতে বাংলাদেশি অতিথিদের সংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। ভারতীয় ভিসা […]

নিউজ ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩৬

কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক এলাকা, যা ‘মিনি বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়িক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় কলকাতার হোটেল এবং দোকানগুলোর ব্যবসা বিপর্যয়ের মুখে। ব্যবসায়ীরা এ পরিস্থিতিকে করোনার পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে উল্লেখ করেছেন।

চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে কলকাতার হোটেলগুলোতে বাংলাদেশি অতিথিদের সংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। ভারতীয় ভিসা নীতির কঠোরতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব কলকাতার মিনি বাংলাদেশ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ৭০ শতাংশের বেশি ব্যবসা কমে গেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার মারকুইস স্ট্রিট, সাডার স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড এবং এলিয়ট রোডে অবস্থিত ১২০টি হোটেলের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ কক্ষে অতিথি রয়েছেন। গত বছর এই সময়ে এসব হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ পূর্ণ থাকত।

কলকাতা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সদস্য মনোতোষ সরকার জানান, ‘গত বছর যেখানে ২৬-২৮টি কক্ষ বাংলাদেশি অতিথিদের জন্য ছিল, সেখানে এখন ৪-৫টি কক্ষই ভরা থাকে।’

এদিকে নিউ মার্কেটের দোকানদাররা আরও চিন্তিত, কারণ বাংলাদেশি ক্রেতাদের অভাবে তাদের বিক্রির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। নিউ মার্কেটের চকোনাট নামক দোকানের মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আগে যেখানে আমাদের বিক্রি ছিল সাড়ে ৩ লাখ রুপি, তা এখন কমে ৩৫ হাজার রুপি হয়ে গেছে।’

এ ছাড়াও, ১২৪ বছরের পুরোনো প্রসাধনীর দোকান রয়্যাল স্টোরের মালিক অজয় শাহা জানান, ‘আগে ২৫-৩০ জন বাংলাদেশি ক্রেতা প্রতিদিন আমাদের দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকার পণ্য কিনতেন, কিন্তু এখন সেই সংখ্যা কমে মাত্র পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। সীমিত পরিসরে এই কার্যক্রম আবার শুরু হলেও, ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা শুধু চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনে ভিসা ইস্যু করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের কলকাতায় ভ্রমণ ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং এর ফলস্বরূপ মিনি বাংলাদেশ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধাক্কা লেগেছে।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০১৬

আন্তর্জাতিক

জাকির নায়েক ঢাকায় পা রাখলেই যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়: রনধীর জয়সওয়াল

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৮

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন,

“জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো বিবেচনায় রাখবে।”

ডা. জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতেন। বিভিন্ন ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে “ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার” এবং একাধিক অর্থপাচারের মামলা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক চ্যানেল “পিস টিভি”-র সম্প্রচার।

এসব ঘটনার পর ৬০ বছর বয়সি এই ইসলামী বক্তা ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি একাধিকবার বলেছেন,

“ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমি ভারতে ফিরব না।”

আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী “জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত” ছিল—এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তবে শেখ হাসিনার পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি ঢাকায় এলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে হস্তান্তর করা হয়—এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০১৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের ছাড়া পানিতে বন্যা, বাঁধ উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান!

ভারতে প্রবল বর্ষণের কারণে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত তিন নদী—চেনাব, রাভি ও সুতলেজে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে জারি করা হয়েছে বন্যার উচ্চ সতর্কতা। ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বুধবার পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চেনাব নদীর কাদিরাবাদ বাঁধের তীররক্ষা […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২৫, ২২:২০

ভারতে প্রবল বর্ষণের কারণে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত তিন নদী—চেনাব, রাভি ও সুতলেজে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে জারি করা হয়েছে বন্যার উচ্চ সতর্কতা। ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বুধবার পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চেনাব নদীর কাদিরাবাদ বাঁধের তীররক্ষা অংশে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র মাজহার হোসেন বলেন,

“বাঁধের অবকাঠামো বাঁচাতে আমরা ডানপাশের তীররক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে দিয়েছি; যাতে পানির চাপ কিছুটা কমে যায়।”

পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের উজান থেকে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় হঠাৎ প্রবাহ বেড়ে গেছে। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ভারত কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আগাম নোটিশ দিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

জরুরি সতর্কতা জারি করে পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চেনাব, রাভি ও সুতলেজ নদীর তীরবর্তী মানুষদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইরফান আলি সতর্ক করে বলেন,

“আমি জনগণকে রাভি নদীর তীর ত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কারণ ১৯৮৮ সালের বন্যার পর এবার পানির প্রবাহ সবচেয়ে বেশি।”

তার মতে, আজ রাত ও আগামীকাল সকালেই লাহোর হয়ে বন্যার পানির ঢল বয়ে যেতে পারে।

চলতি বর্ষায় পাকিস্তান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুন মাস থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ, ভূমিধস ও বন্যায় এ পর্যন্ত ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০১৬

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি […]

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ‘নিজস্ব রাজনৈতিক পরিসর’ তৈরি করতে চান।

মুশতাক জানান, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছি। ১৯ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রাপথে থাকাকালীন আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’ তবে দলটি এখনো তার পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দলের ভেতরে নীতিনিষ্ঠ অবস্থান ও নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে সরব ভূমিকায় পরিচিত এই নেতা বলেন, পদত্যাগ তার জীবনের এক আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। ‘সেদিন রাতে আমি কেঁদেছিলাম, যেমন কেঁদেছিলাম আমার মা মারা যাওয়ার রাতে,’ বলেন মুশতাক।

তিনি আরও বলেন, এখনই তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। তার মতে, ‘রাজনৈতিক সংগঠনের কাঠামোর ভেতরে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে, কখনও কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করাই প্রয়োজন।’ ‘আমি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীন গণমাধ্যম, ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি, ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার এবং পাকিস্তানের প্রদেশগুলোর সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চাই,’ বলেন তিনি।

মুশতাক স্বীকার করেন, জামায়াতের ভেতরে গত কয়েক বছরে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল, তবে তা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধে পরিণত হয়নি। ‘দলের ভেতরে কিছু বিষয়ে ভিন্নমত ছিল, কিন্তু আমার কারও সঙ্গে কোনো রাগ বা শত্রুতা নেই,’ বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির হাফিজ নাঈমুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাফিজ নাঈমুর রহমান একজন নেতা; তাঁর সঙ্গে আমার কোনো মতবিরোধ নেই। আমি চাই, আমার আর জামায়াতের মধ্যে কোনো সমস্যা না থাকুক, আর আমার কারণে দলটিরও কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হোক।’

পদত্যাগের পাশাপাশি মুশতাক আহমদ এক নতুন জনআন্দোলন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সারা পাকিস্তানে এক লাখ ফিলিস্তিন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।’

ইসরাইলি বাহিনীকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রা ও পরবর্তীতে ইসরাইলে আটক অবস্থায় তিনি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা ছিল এক কঠিন ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষা।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ারও সমালোচনা করে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি যদি দুই বছর আগে হতো, সেটাই হতো প্রকৃত সাফল্য। এখনকার এই ফলাফলের কৃতিত্ব হামাসেরই, কারণ তাদের সংগ্রাম অদম্য।’

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০১৬