ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন মার্কিন সরকারের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ফিলিস্তিন বিষয়ে ওয়াশিংটনের নীতি ও আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
ওই বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন মার্কিন সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য ও বৈধ অধিকারের ব্যাপারে কি নীতি গ্রহণ করে ও বাস্তবে কোন ধরনের আচরণ করে তা দেখেই আমরা হামাস এই নতুন সরকারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান গ্রহণ করব।
ওই বিবৃতিতে হামাস আরও বলেছে, দুঃখজনকভাবে মার্কিন সব সরকার ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ব্যাপারে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে এবং ফিলিস্তিন সংক্রান্ত সমস্ত দিক ও ক্ষেত্রে সব সময়ই ইহুদিবাদীদের বৃহত্তম সহযোগী থেকেছে।
হামাস আরও বলেছে, বর্তমান মার্কিন সরকার যুদ্ধ-অপরাধী ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সমসাময়িক যুগের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা বা জাতিগত শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সামরিক মদদ যোগানোর ফিলিস্তিন-বিদ্বেষী নীতি বাস্তবায়ন করছে এবং নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অর্ধ লক্ষ ফিলিস্তিনির ওপর গণহত্যার পরিপূর্ণ শরিক হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করেছে নিজের ভূমিকার মাধ্যমে।
একই বিবৃতির অন্য এক অংশে হামাস বলেছে, আমরা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর দখলদারিত্বের ব্যাপারে অন্ধ সমর্থনের নীতি অবসানের ও ফিলিস্তিনের গাজা আর পশ্চিম তীর ও ভ্রাতৃপ্রতিম লেবাননী জাতির ওপর চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং আগ্রাসন বন্ধের জোরালো ও কার্যকর প্রচেষ্টা চালানোর ও একইসঙ্গে ইসরাইলকে সামরিক ও রাজনৈতিক মদদ দেয়া বন্ধ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
হামাস এই বিবৃতিতে বেশ জোরালো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, নতুন মার্কিন সরকার জেনে রাখুক ফিলিস্তিনি জনগণ দখলদার ও ঘৃণ্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে এবং তারা এমন কোনো ব্যবস্থা বা পরিকল্পনা মেনে নেবে না যেখানে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও নিজের হাতে নিজ ভাগ্য নির্ধারণসহ পবিত্র কুদস শহরকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বৈধ অধিকারের স্বীকৃতি থাকবে না।
উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বরে (২০২৪) অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।