ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন ইরানের সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তার বাবা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেছিলেন।
বিবিসি’র লরা কুয়েনসবার্গের কাছে ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই কঠিন দিনগুলোতে, আমার হৃদয় সেই সকল নিরস্ত্র নাগরিকদের সঙ্গে আছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং খামেনির যুদ্ধবাজি ও বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, আমি আমাদের মাতৃভূমিকে যুদ্ধের আগুনে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।’
পাহলভি দাবি করেছেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিকের অবসান ঘটেছে এবং এটি এখন ধ্বংসের পথে। খামেনি, ভীত ইঁদুরের মতো, ভূগর্ভে লুকিয়েছে এবং পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যা শুরু হয়েছে তা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং একসঙ্গে আমরা ইতিহাসের এই তীক্ষ্ণ মোড় পার করব।’
তিনি আরও বলেন, ইসলামিক রিপাবলিকের অবসান মানে ইরানি জাতির বিরুদ্ধে এর ৪৬ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি। শাসনের দমন-পীড়নের যন্ত্রপাতি ভেঙে পড়ছে। এখন শুধু একটি জাতীয় বিদ্রোহের প্রয়োজন এই দুঃস্বপ্নের চিরতরে অবসান ঘটাতে।
এখনই উঠে দাঁড়ানোর সময়; ইরানকে পুনরুদ্ধার করার সময়। আসুন আমরা সবাই এগিয়ে আসি—বন্দর আব্বাস থেকে বন্দর আনজালি, শিরাজ থেকে ইসফাহান, তাবরিজ থেকে জাহেদান, মাশহাদ থেকে আহভাজ, শাহর-ই কোর্দ থেকে কেরমানশাহ—এবং এই শাসনের অবসান ঘটাই।
রেজা পাহলভি বলেন, ইসলামিক রিপাবলিকের পতনের পরের দিনকে ভয় পাবেন না। ইরান গৃহযুদ্ধ বা অস্থিরতায় নিমজ্জিত হবে না। আমাদের কাছে ইরানের ভবিষ্যৎ ও এর সমৃদ্ধির জন্য একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা পতনের পর প্রথম একশো দিন, স্থানান্তরকালীন সময় এবং একটি জাতীয় ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত।

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?