ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের একাধিক ল্যাবরেটরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এতে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক গবেষণা যন্ত্রপাতি এবং বহু বছরের গবেষণা কার্যক্রম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এরান সেগাল ও এলদাদ জাহোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তাদের গবেষণাগার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া ল্যাবের ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করে তারা নিজেদের বেদনার কথা তুলে ধরেন।
গ্রাফিক ডিজাইনার মোর মরিয়া শিপোনি জানান, “ল্যাবগুলো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। আমার সহকর্মীরা বছরের পর বছর ধরে সেখানে গবেষণা করছিলেন। মূল্যবান যন্ত্রপাতিও ধ্বংস হয়েছে। সব কিছু শেষ হয়ে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রথমে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম, শেষমেশ যাইনি বলেই বেঁচে গেছি। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি হলেও আমরা জীবিত আছি, এটাই সৌভাগ্যের।”
প্রায় ৯০ বছর আগে ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট চিকিৎসাবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত।
এখানকার বিজ্ঞানী আদা ইয়োনাথ ২০০৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমস-এর সঙ্গেও যৌথ গবেষণায় যুক্ত ছিল।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “ইরান ধ্বংস এবং অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে শান্তিকে ব্যাহত করতে চায়। কিন্তু ইসরায়েল জীবন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আদর্শকে ধরে রাখবে এবং শান্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও ফোরদোর তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শীর্ষপর্যায়ের ইরানি বিজ্ঞানী নিহত হন, যাদের অনেকে পরিবারসহ ঘরে অবস্থান করছিলেন।

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?