ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গভীর রাতে তড়িঘড়ি করে রাজধানী তেল আবিব ত্যাগ করেছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা দাবি করেছে। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তার এই আচমকা গোপন প্রস্থান ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে ইরান থেকে একের পর এক পাল্টা হামলার হুমকি আসার পর নেতানিয়াহু ও তার পরিবার একটি সামরিক বিমানে করে গোপন স্থানে সরে যান বলে দাবি করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। যদিও ইসরায়েলি সরকার এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান থেকে আসা সরাসরি প্রতিশোধের আশঙ্কায় নেতানিয়াহুর এই পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে দেশটির একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
পাল্টা জবাবের অংশ হিসেবে ইরান সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয়।
নেতানিয়াহুর এই গোপন প্রস্থানকে ইসরায়েলি বিরোধী দলগুলো “দুর্বল নেতৃত্ব” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে—অনেকে নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও, অনেকে এটিকে কাপুরুষোচিত পালানো হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ কেবল রাজনৈতিক নয়, কূটনৈতিকভাবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এটি ইঙ্গিত দেয়, সামরিক আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বও এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?