নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানের পাল্টা প্রতিশোধের হুমকির মধ্যে ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি প্রকাশ করেছেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ভয়ে এক রাতেই পাঁচবার তাকে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। রাষ্ট্রদূত হাকাবি একে ‘অসাধারণভাবে কঠিন একটি রাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বতন টুইটার) পোস্ট দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লেখেন,
“এখন শাব্বাত চলছে—যা শান্ত থাকার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন। পুরো জাতিকে বলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে।” তিনি উল্লেখ করেন, রাতভর আশ্রয়কেন্দ্রে বারবার দৌড়াতে হয়েছে—যা ছিল চরমভাবে আতঙ্কজনক।
রাষ্ট্রদূত হাকাবির এ মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানাপোড়েন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা নিহত হন। এর জবাবে ইরান পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের ‘বর্বর আগ্রাসনের’ উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত হাকাবি আরও বলেন,
“আমি মনে করি না যে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া ইরানে হামলা চালাবে। আমাদের সম্পর্কের মধ্যে গভীর আস্থা রয়েছে।” তিনি ইসরায়েলকে আমেরিকার “সত্যিকারের অংশীদার” বলেও অভিহিত করেন।
তিনি বলেন,
“আমরা অনেক দেশের সঙ্গে মিত্রতা বজায় রাখি। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভিন্ন। আমরা একে অপরের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য, সামরিক কৌশল, অস্ত্র ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করি। কারণ আমাদের সভ্যতার ভিত্তি, মূল্যবোধ এবং নিরাপত্তার স্বার্থ অভিন্ন।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আশ্রয়কেন্দ্রে বারবার যাওয়ার ঘটনা শুধু ইসরায়েলে উত্তেজনা নয়, বরং পুরো অঞ্চলে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ নিরাপত্তা জোটের ভবিষ্যৎ ভূমিকার দিকেও একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। ইরান যদি চূড়ান্ত জবাব দেয়, তবে তা কেবল ইসরায়েল নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?