ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হানাদারি রক্তাক্ত গণহত্যায় রূপ নিয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও দখলদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ৪২ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন—এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একসঙ্গে ১৬ জনের মরদেহ আনা হয়। একই সংখ্যক মরদেহ পৌঁছায় উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। এছাড়াও দেইর এল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছায় আরও ৫ জনের মরদেহ।
নাসের হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাফাহর পশ্চিম ও উত্তরাংশে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে চালানো গোলাবর্ষণে অন্তত সাতজন নিহত হন। এই হামলার জেরে শুক্রবার গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।
উল্লেখযোগ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত বিতর্কিত এই সংস্থার ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়েই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১১০ জন ফিলিস্তিনি—যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এদিকে ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় আহত এক সাংবাদিক মারা গেছেন চিকিৎসাধীন অবস্থায়। গাজার সরকারি গণমাধ্যম বিভাগ জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে—যা বিশ্ব গণমাধ্যম ইতিহাসে নজিরবিহীন এক গণহত্যার প্রমাণ।
গাজার রক্তাক্ত মাটি আজও ঈদের নামাজে রক্তস্রোতের সাক্ষী, আর দখলদার বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবতা ও ধর্মীয় মর্যাদাকেও উপহাস করে নির্মমতা চালিয়ে যাচ্ছে—বিশ্ব নীরব দর্শক।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?