পাকিস্তান-ভারত সংলগ্ন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে পাকিস্তান । এ দাবি করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করারও অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। আল জাজিরা আজ (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সাইবার সিস্টেম ইত্যাদির বিশাল অংশে হামলা ও ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ‘বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামো’-কে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান ভারতের বেসামরিক নাগরিক এবং অবকাঠামোকে টার্গেট করছে—এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন নয়, বরং সরাসরি উসকানিমূলক কাজ। আমরা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে অবহিত করেছি।”
এদিকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার নতুন রূপ এটি। কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্ত সংঘর্ষ এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। পরমাণু শক্তিধর এ দুই দেশের মধ্যে যে কোনো সামরিক সংঘাত শুধু অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হয়ে উভয়পক্ষকে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের পথে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?