বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ভারতের বিরুদ্ধে যেসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে পাকিস্তান

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক হামলা চালায়। এর জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আকাশ ও স্থলে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্র। এই হামলায় পাকিস্তান ব্যাপকভাবে চীন-নির্মিত সমরাস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় । ভারতের […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ২১:৫৬

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক হামলা চালায়। এর জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আকাশ ও স্থলে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্র। এই হামলায় পাকিস্তান ব্যাপকভাবে চীন-নির্মিত সমরাস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ।

ভারতের অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তান যেসব অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।

এইচকিউ-৯ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

লাহোরে অবস্থিত একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ধ্বংস করার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, যদিও পাকিস্তান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সহায়তায় পাকিস্তান এইচকিউ-৯ নামক দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এটি মূলত রাশিয়ার এস-৩০০ এর ডিজাইন অনুসরণ করে নির্মিত এবং উন্নত রাডার ও গাইডেন্স প্রযুক্তিসহ সজ্জিত।

জে-১০সি যুদ্ধবিমান

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের সামরিক অবস্থানের বিরুদ্ধে তারা চীনে নির্মিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। এই এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট মাল্টিরোল ফাইটার জেট একযোগে ছয়টি লেজার-নির্দেশিত বোমা, সাধারণ বোমা ও রকেট বহন করতে সক্ষম এবং এতে রয়েছে একটি ২৩ মিমি ব্যারেল কামান। পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশ এই মডেলটি ব্যবহার করছে না।

পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র

চীনের তৈরি পিএল-১৫ নামক আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান তার যুদ্ধবিমান থেকে ছুড়েছে বলে জানা গেছে। এটির পাল্লা ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার এবং এটি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে ছুটে টার্গেটে আঘাত হানতে পারে। এতে রয়েছে ডুয়াল-পালসড রকেট মোটর ও ইলেকট্রনিক স্ক্যান রাডার প্রযুক্তি।

এসএইচ-১৫ আর্টিলারি গান

পাকিস্তানি সেনারা ভারতের ভূখণ্ডে হামলার জন্য ব্যবহার করেছে চীন থেকে আমদানি করা এসএইচ-১৫ মোবাইল হাউইটজার গান। এটি ট্রাকচালিত হওয়ায় দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে শত্রুকে লক্ষ্য করে ‘শুট অ্যান্ড স্কুট’ কৌশল প্রয়োগে সক্ষম। এই আর্টিলারি প্রতি মিনিটে ৪ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে এবং জিপিএস ও ইনর্শিয়াল ন্যাভিগেশন সিস্টেম ব্যবহারের ফলে নিখুঁতভাবে টার্গেট চিহ্নিত করতে পারে।

উন্নত চীনা ড্রোন

ড্রোন হামলার ক্ষেত্রেও পাকিস্তান ব্যাপকভাবে চীনের উপর নির্ভর করেছে। দেশটির কাছে থাকা উইং লুং-২ এবং সিএইচ-৪ মডেলের ড্রোনগুলো পেশাদার সামরিক পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়েছে। উইং লুং-২ ড্রোনটি মাঝারি উচ্চতায় দীর্ঘসময় উড়তে পারে এবং সরাসরি আঘাত হানার ক্ষমতাসম্পন্ন। এর পাখার বিস্তার ২০ মিটার এবং এটি আগেও চীনের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হয়েছে। সিএইচ-৪ ড্রোন দেখতে অনেকটা আমেরিকার এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের মতো এবং এটি নজরদারি ও আক্রমণের উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

সামরিক বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন-পাকিস্তান কৌশলগত সামরিক সহযোগিতা এবার সরাসরি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে কার্যকরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। পাকিস্তান চীনা অস্ত্র ও প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজেদের সামরিক প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করেছে এবং এর মাধ্যমে তারা আঞ্চলিক সমতা ও প্রতিরোধ সক্ষমতার বার্তা দিয়েছে।

ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এসব প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে পরবর্তী অবস্থান জানায়নি, তবে সীমান্তজুড়ে সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে এবং সম্ভাব্য পাল্টা জবাবের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫