ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে “দু’দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়” বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওয়াশিংটন এই সংঘাতে সামরিক হস্তক্ষেপে যাবে না, তবে কূটনৈতিকভাবে উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
ভ্যান্স বলেন,
“আমরা কোনো পক্ষকে অস্ত্র নামাতে বলার মতো অবস্থানে নেই। আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়াতে চায় না, কারণ এটি আমাদের সীমার বাইরের একটি সংঘাত। আমরা শুধু চাইছি তারা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পথে এগিয়ে যাক।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা আশাবাদী যে এই সংঘর্ষ কোনওভাবেই বড় ধরনের যুদ্ধ কিংবা ঈশ্বর না করুন, পারমাণবিক সংঘাতে রূপ নেবে না। তবে আপাতত আমাদের মনে হচ্ছে, এমনটা হওয়ার আশঙ্কা খুব কম।”
এই অবস্থানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একমত বলে জানিয়েছেন জেডি ভ্যান্স। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখানকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদান মাত্র—বাধ্যতামূলক নয়।
এদিকে সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের দাবি, ভারতের একাধিক ড্রোন পাকিস্তানি আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে, যার মধ্যে দুই ডজনের বেশি ড্রোন তারা গুলি করে নামিয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণে জবাব দিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
এই উত্তেজনার পাল্টা জবাবে ভারত ‘টার্গেটেড অপারেশন’ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান,
“পাকিস্তানই প্রথমে উসকানি দিয়েছে। আমাদের জবাব ছিল নিয়ন্ত্রিত, সুনির্দিষ্ট এবং শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে সীমাবদ্ধ।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভারতের এই অভিযান শুরু হয়েছে শুক্রবার ভোরে, যার লক্ষ্য ছিল আরব সাগরের পাকিস্তানি কৌশলগত অবস্থান। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো বিস্তারিত বিবৃতি আসেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের এই সামরিক মুখোমুখি অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহল এখন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো হঠাৎ উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতির ভারসাম্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?