ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা এক ভয়াবহ সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আজাদ কাশ্মির ও পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান যে কোনও মুহূর্তে জবাব দিতে পারে—এমন আশঙ্কায় ভারত এরইমধ্যে নিজ দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
ভারতের রাজস্থান ও পাঞ্জাব রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রাজস্থানের ১,০৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার পরামর্শ।
ভারতীয় বিমানবাহিনীও অবস্থান নিয়েছে হাই অ্যালার্টে। গঙ্গানগর থেকে কচ্ছ অঞ্চল পর্যন্ত আকাশপথে টহল দিচ্ছে সুসজ্জিত সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান। জোধপুর, কিশনগড় এবং বিকানের বিমানবন্দরে ৯ মে পর্যন্ত সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। সীমান্তের কাছাকাছি জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং চলমান পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ ও রেল বিভাগের সকল কর্মীদের ছুটি বাতিল করে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম স্থাপন এবং রাতভর ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষ সহজে লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে না পারে।
পাঞ্জাব রাজ্যেও অনুরূপ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। সেখানে জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, আর মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
ভারতের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, সবগুলো বিমান ভারতের নিজস্ব আকাশসীমার মধ্যেই গুলি করে নামানো হয়েছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভূপাতিত হওয়া বিমানের মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, ভারতীয় আগ্রাসনে নিহতদের ‘প্রতিটি রক্তফোঁটার প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা একে একে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘর্ষ দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?