মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তাদের ‘ফিলিস্তিন-২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের কৌশলগত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।
হামলার বিষয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—যেমন হেইতস-৩ এবং থাড সিস্টেম—হামলার পূর্বাভাস দেওয়ার পরও ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়োসি ইয়েহোশুয়া মন্তব্য করেছেন, ঘটনাটি দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ওপর একটি বাস্তবিক পরীক্ষা ছিল, এবং সেখানে কিছু ঘাটতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তিনি বলেন,
“হামলার ধরন এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি ইঙ্গিত দেয় যে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সময়োপযোগী করার প্রয়োজন রয়েছে।”
হামলার পরপরই তেল আবিবগামী একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য নিরাপত্তা ও সামরিক মহল এখন উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বহুমুখী হুমকির মুখে প্রচলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। তারা উল্লেখ করেন, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ছাড়াও, রাডার ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতা এবং একযোগে একাধিক দিক থেকে আক্রমণের মতো নতুন চ্যালেঞ্জ এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, আরও বিস্তৃত ও জটিল আকারের অভিযান এখনও বাকি রয়েছে। তিনি বলেন,
“এই হামলা ছিল শুরু মাত্র।” একই সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উল্লেখ করছেন, ইয়েমেন ও ইসরায়েলের মধ্যকার ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা ব্যয়বহুল ও কৌশলগতভাবে কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এ ধরনের হামলা শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, বরং গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ভারসাম্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নীতিতে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?