কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে চালানো ভয়াবহ মিসাইল হামলায় একের পর এক বেসামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। এই আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানও দমে না গিয়ে চালিয়েছে পাল্টা হামলা। দুপক্ষের এই সংঘাতে সীমান্ত এখন রণক্ষেত্র, আর আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন ভারতীয় নাগরিকরা।
কাশ্মীরের সীমান্তঘেঁষা সালামাবাদ গ্রামে ভারতীয় বাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণে এলাকাটি কার্যত জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ঘরবাড়ি আর ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া রাস্তা যেন এক ভুতুড়ে জনপদের চিত্র আঁকে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কিন্তু গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, সরকার জানতো হামলা হতে পারে, তবুও তাদের সতর্ক করা হয়নি।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের পাল্টা অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ ও একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল। এসব বিমান জম্মু, আখনুর, শ্রীনগর ও অবন্তীপুর অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়। আবারও ভারতীয় পাইলট বন্দি করার কথাও জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
এদিকে ভারতের আগ্রাসনে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একাধিক এলাকায় বেসামরিক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহমেদপুরে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু কন্যাসহ অন্তত ১৩ জন। মসজিদের ওপর চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন নারী-শিশু সহ আরও অনেকে। হামলার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাঞ্জাব প্রদেশ প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সক্রিয় রাখা হয়েছে হাসপাতালসহ জরুরি সেবা সংস্থাগুলো।
এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন—আত্মরক্ষায় পাকিস্তান কখনও পিছপা হবে না। ভারতের আগ্রাসনের জবাব কড়া ভাষায় দেওয়া হবে। পরিস্থিতির লাগাম টেনে না ধরলে উপমহাদেশে আরেকটি সর্বগ্রাসী যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের এই দ্বন্দ্ব এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারতের যুদ্ধাস্ত্রের দাম্ভিকতা আর আগ্রাসী মনোভাব স্পষ্ট করছে—তাদের উদ্দেশ্য একটাই, দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়, আগ্রাসন আর অস্থিতিশীলতার স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলা। তবে পাকিস্তানও এবার মাটির জবাব দিয়েছে আগুন দিয়ে—এটাই বাস্তবতা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?