আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত পাকিস্তানের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ভারত। হামলার পরপরই ওই স্থাপনাটিতে আঘাত হানার বিষয়টি স্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠক।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনায় পাকিস্তান চরম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বৈঠকে এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করে ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিউত্তরের বিষয়েও আলোচনা হয়।
পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, নীলম নদী থেকে ঝিলাম নদীতে পানি প্রবাহের একটি বাঁধকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও জেনেভা কনভেনশনের পরিপন্থী। স্থাপনাটিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল ৪৭টি যুদ্ধবিমান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব বিমানের মধ্যে বহু ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের তৈরি, যা এই সংঘাতে তাদের পক্ষপাতের ইঙ্গিত বহন করে।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সেনাবাহিনীকে প্রতিউত্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়। উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘ সনদের অনুচ্ছেদ ৫১ অনুযায়ী, আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে পাকিস্তানের আইনগত বৈধতা রয়েছে।
বৈঠকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বশেষ অভিযানে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় বাহিনীটির ভূমিকাকে প্রশংসিত করা হয় এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
NSC-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তান সবসময় শান্তির পক্ষে থাকলেও জাতীয় মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করবে না। দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রতিটি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে যথাযথভাবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন ভারতের এই আগ্রাসনের যথাযথ জবাবদিহি নিশ্চিত করে এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?