কাশ্মীরের বিভাজন নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) একটি সামরিক চৌকিতে ‘সাদা পতাকা’ উত্তোলন করে পালিয়েছে ভারতীয় সেনারা-এমন দাবি করেছে পাকিস্তান। আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত এই সাদা পতাকা তোলার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আজ (বুধবার ৭ মে) সকালে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার তাদের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এ দাবি করেছে।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার নিজ এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘প্রথমে তারা (ভারত) তদন্তের প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে যায়, এখন আবার সীমান্ত থেকে পালিয়েছে।’
তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই দাবি তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ববাসীর উদ্দেশে এক লাইনের একটি বার্তা দেন। এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।’
আর দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানে হামলা নিয়ে আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ভারত অধিকার প্রয়োগ করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়। জেনেশুনে সেই দেশে লুকিয়ে রাখা হয় সন্ত্রাসবাদীদের। পহেলগাঁও হামলার পর দেশের নানা প্রান্তে ক্ষোভ দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই তারপর ভারত সরকার কিছু পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু তারপরেও পহেলগাঁও ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার আবশ্যক ছিল।
ওই ঘটনার পরেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করছে। আমাদের কাছে খবর ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারে। তাই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল। ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে জবাব দিতে। সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করতেই এই হামলা। জাতিসংঘ গত ২৫ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বলেছিল ন্যায়বিচার দরকার। ভারতের প্রত্যাঘাত তার ভিত্তিতেই।
সাংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ভূমিকা সিং। দুই সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্রঃ পার্সটুডে

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?