ভারতের সীমান্ত পারাপার সামরিক অভিযানের জবাবে পাল্টা হামলায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। ধ্বংস হওয়া জেটগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি সু-৩০এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯ ফালক্রাম।
বুধবার (৭ মে) সকালে পাকিস্তানের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য উঠে আসে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইএসপিআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান,
“ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সাথে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে আছে।”
একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ভূপাতিত যুদ্ধবিমানের পাইলটদের মধ্যে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা পাকিস্তানি বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনাটি ২০১৯ সালের বালাকোট পরবর্তী পর্বের স্মৃতিকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যখন পাকিস্তানের হাতে বন্দি হয়েছিলেন এক ভারতীয় পাইলট।
এদিকে আকাশপথের সংঘর্ষ ছাড়াও সীমান্তে স্থল অভিযানে বড় সাফল্যের দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দফতর সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চৌকিটির অবস্থান ছিল দুই দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন ধুনদিয়াল সেক্টরে, যা কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক অবস্থান হিসেবে পরিচিত।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রাফাল কিংবা সু-৩০এমকেআই ধরনের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা কেবল অস্ত্র প্রযুক্তি বা কৌশলের ব্যর্থতাই নয়—এটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভারতীয় বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত যখন তাদের পাইলট ফের প্রতিপক্ষের বন্দিত্বে পড়েন।
বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘসহ কূটনৈতিক মহল দুই পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানালেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ দেখা যায়নি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?