মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে ভারতীয় বাহিনীর পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রতি পূর্ণ সংহতির বার্তা জানালো তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এবং ন্যাটোভুক্ত শক্তিশালী এই রাষ্ট্রটি সরাসরি ইসলামাবাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ভারতের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কঠিন সময়ে তুরস্কের পক্ষ থেকে সমর্থনের বার্তা এসেছে, যা দুই দেশের ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র শফকত আলী খান বলেন,
“উভয় পক্ষই আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
তিনি আরও জানান, তুর্কি রাষ্ট্রদূত ভারতের পক্ষ থেকে সংঘটিত এই হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দেন এবং নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক এই অবস্থান স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, পাকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং সামরিক ও ভূরাজনৈতিক সংকটে একে অন্যের প্রতি নির্ভরযোগ্য বন্ধুত্বের প্রতিচ্ছবি বহন করে।
দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি, ড্রোন ও নৌ-সহযোগিতা ছাড়াও ভূরাজনীতির প্রশ্নে দুই দেশ প্রায়ই অভিন্ন অবস্থানে থাকে। ভারতের হামলার পর তুরস্কের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইসলামাবাদকে একটি মনোবল ও কৌশলগত সমর্থন জোগাবে বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?